দীর্ঘ সময়ব্যাপী মধ্যযুগ বা ইসলামি যুগে শিক্ষার ইতিহাস একই সঙ্গে ভাঙা ও গড়ার ইতিহাস। এসময় একদিকে যেমন ধর্মীয় গোঁড়ামি, রাজরোষ ইত্যাদির কারণে ভারতের প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে, অন্যদিকে তেমনই ইসলাম ধর্ম প্রচার এবং ইসলামি সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানোর জন্য রাজানুকুল্যে ভারতবর্ষে ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। শিক্ষাক্ষেত্রে এই পরিবর্তনকে বুঝতে হলে মধ্যযুগীয় বা ইসলামি শিক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে জানতে হবে।

মধ্যযুগীয় বা ইসলামি শিক্ষার বৈশিষ্ট্য
মধ্যযুগের শিক্ষার বৈশিষ্ট্যাবলি প্রসঙ্গে যে বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সেগুলি হল- শিক্ষার লক্ষ্য, পাঠক্রম, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক, শিক্ষাদান পদ্ধতি, শৃঙ্খলা, শিক্ষার সুযোগ, নারীশিক্ষা, মূল্যায়ন পদ্ধতি ও ডিগ্রি প্রদান ইত্যাদি। এই বৈশিষ্ট্যগুলির বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল।
(1) শিক্ষার লক্ষ্য:
ভারতে মধ্যযুগীয় শিক্ষা তথা ইসলামি যুগের শিক্ষার বিকাশ মূলত মুসলমান শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতাতেই গড়ে উঠেছিল। মহম্মদ ঘোরি থেকে শুরু করে, কুতুবউদ্দিন আইবক, আলাউদ্দিন খিলজি, ফিরোজ তুঘলক, আকবর, ঔরঙ্গজেব প্রমুখ শাসক নিজেদের সুযোগসুবিধা মতো এদেশে মুসলিম শিক্ষাব্যবস্থা সংগঠিত করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। এর মূলে ছিল কিছু ধর্মীয় এবং কিছু রাজনৈতিক কারণ।
- ধর্মীয় কর্তব্য পালন: ভারতে মধ্যযুগীয় শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামিক শিক্ষার প্রথম উদ্দেশ্য ছিল, পবিত্র ইসলাম ধর্মগ্রন্থের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করার জন্য মানুষকে শিক্ষার দ্বারা উপযুক্ত করে তোলা। তাই ইসলাম ধর্মে শিক্ষা প্রসারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সর্বশক্তিমান আল্লার কাছে পৌঁছোনোর অন্যতম মাধ্যম হল শিক্ষা। শিক্ষা তথা জ্ঞান মানুষকে মুক্তির সন্ধান দেয়। ন্যায়-অন্যায়, ভালোমন্দ বিচার করার শক্তি জোগায়। তাই মুসলিমদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটানো একটি ধর্মীয় কর্তব্য। সেই কর্তব্য পালনের জন্যই মুসলমান শাসকরা মুসলিম শিক্ষাব্যবস্থা সংগঠিত করেন।
- সামাজিক ঐক্য বজায় রাখা: ইসলাম ধর্মে জাতিভেদ নেই। ধনীদরিদ্রনির্বিশেষে যে-কোনো মানুষই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে পারে। সব মানুষের জন্যই ইসলামের নির্দেশ সমান-এই ধারণাগুলি অধিকৃত ভূখণ্ডের জনগণের মধ্যে সঞ্চারিত করে সামাজিক ঐক্য বজায় রাখাই ছিল মধ্যযুগীয় শিক্ষার অপর একটি লক্ষ্য।
- অন্যান্য লক্ষ্য: মুসলিম সাম্রাজ্যবিস্তারের প্রথম দিকে মুসলিম শিক্ষাব্যবস্থার পূর্বোক্ত উদ্দেশ্যগুলি থাকলেও পরবর্তীকালে এর পরিবর্তন ঘটে এবং তা ইসলামীয় শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হয়- [a] প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সুপ্ত সম্ভাবনাগুলির পরিপূর্ণ বিকাশ সাধন করা, [b] তাঁদের নৈতিক এবং জাগতিক জীবনের মান উন্নত করা, [c] আধ্যাত্মিক চিন্তার গভীরতায় প্রবেশের আগে কুসংস্কার থেকে মুক্ত হওয়া, [d] প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কোরানের নীতিগুলি অনুসরণ ও নির্দেশগুলি পালন করতে উদ্বুদ্ধ করা। প্রত্যেক মুসলমান যাতে ইসলামের প্রকৃত আদর্শগুলি উপলব্ধি করতে পারে, সে বিষয়ে তাকে সহায়তা করা।
(2) পাঠক্রম:
মধ্যযুগে ইসলামীয় শিক্ষার পাঠক্রম প্রাচীন ভারতীয় ব্রাহ্মণ্য ও বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থার মতোই ধর্মকে ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছিল। পরবর্তীকালে পরীক্ষানিরীক্ষার ভিত্তিতে একে সময়োপযোগী করে তোলার ব্যবস্থা করা হয়।
- প্রাথমিক শিক্ষা: প্রাথমিক শিক্ষার প্রতিষ্ঠান মক্তবের পাঠক্রম ছিল অনেকটাই গতানুগতিক। ওই পাঠক্রমে কোরানের নির্বাচিত অংশ থেকে পাঠ মুখস্থ করানো হত। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত নামাজ পড়তে হত। এ ছাড়া ফতিয়ার মন্ত্রগুলি শিক্ষার্থীরা যাতে শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে পারে, তাও শেখানোর ব্যবস্থা ছিল। প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার মাধ্যম ছিল আরবি। তবে কোনো কোনো মক্তবে ফারসি ব্যাকরণও পড়ানো হত। শিক্ষার্থীদের হাতের লেখার ওপরও খুব গুরুত্ব দেওয়া হত। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের দিনে চার ঘণ্টা পর্যন্ত লেখা অভ্যাস করানো হত। শিক্ষার্থীদের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক বিকাশের জন্য দরবেশ ও পয়গম্বরদের জীবনী শোনানো হত। শিক্ষার্থীদের সামাজিক বিকাশ ত্বরান্বিত করার জন্য চিঠি লেখা, আবেদনপত্র লেখা এবং কথোপকথনের কৌশলও শেখানো হত। এইসব শিক্ষণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কিছু কিছু গণিতও অভ্যাস করানো হত। মোট কথা, বাস্তবে লেখা এবং পড়া উভয়ই শেখানো হত। মধ্যযুগে আরবি, ফারসি ও হিন্দি ভাষার সংমিশ্রণে উর্দুভাষার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে উর্দুভাষা শিক্ষাকেও পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
- মাধ্যমিক শিক্ষা: মাধ্যমিক শিক্ষার প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসায় এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ইসলামীয় শিক্ষাব্যবস্থায় দুই ধরনের পাঠক্রম অনুসৃত হয়। এদের মধ্যে একটি ধর্মীয় শিক্ষার পাঠক্রম এবং অন্যটি ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার পাঠক্রম। এই পাঠক্রমগুলির মেয়াদ ছিল বারো বছর। [a] ধর্মীয় শিক্ষার পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত ছিল ধর্মতত্ত্ব ও কোরান পাঠ, কোরানের ব্যাখ্যা, হজরত মহম্মদের বাণী আলোচনা, ইসলামীয় আইন, হাদিস ও তার ব্যাখ্যা ইত্যাদি বিষয়সমূহ। [b] ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত ছিল-সাহিত্য, জমিজরিপ, জ্যোতির্বিদ্যা, প্রশাসন বিজ্ঞান, পাটিগণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি, নীতিবিদ্যা, দর্শন, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, চিকিৎসাশাস্ত্র ও শারীরতত্ত্ব, ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি প্রভৃতি বিষয়সমূহ। [c] সম্রাট আকবরের সময়ে হিন্দু জনগণের শিক্ষার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার পাঠক্রমে হিন্দু কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সংস্কৃতপাঠে আগ্রহীদের জন্য ন্যায়শাস্ত্র, ব্যাকরণ, বেদান্ত, পতঞ্জলির ভাষ্য প্রভৃতি আবশ্যিক করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরবর্তীকালে বৃত্তিশিক্ষার জন্যও পাঠক্রম প্রণয়ন করা হয়। সম্রাট আকবর, জাহাঙ্গির ও শাহজাহান চিত্র, ভাস্কর্য ও সংগীত শিল্পের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন।
(3) ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান:
হিন্দুদের যেমন হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্যারম্ভ বা শিক্ষার সূচনা হত, তেমনই ইসলামীয় শিক্ষাব্যবস্থাতেও একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষাজীবন শুরু হত। অনুষ্ঠানটিকে বলা হত ‘বিসমিল্লাহ অনুষ্ঠান’ বা ‘মক্তব অনুষ্ঠান’। অনুষ্ঠানটির পর্যায়গুলি হল-[1] শিশুর বয়স চার বছর চার মাস চার দিন হলে, শিশুকে রঙিন পোশাক পরিয়ে মক্তবের শিক্ষক তথা মৌলবির সামনে বসানো হত। [ii] শিশুর হাতে দেওয়া হত একটি রুপোর তৈরি ফলক। ওই ফলকের ওপরে কোরানের একটি পঙ্ক্তি লেখা থাকত। [iii] মৌলবি কোরানের ওই পঙ্ক্তিটি বার বার উচ্চারণ করে শিশুকে মুখস্থ করাতেন। এইভাবে মক্তবে শিশুর বিদ্যারম্ভের অনুষ্ঠান হত। এরপর শিশুর শিক্ষার জন্য একজন শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হত। শিশুর সাত বছর বয়স হলে তাকে মক্তবে শিক্ষালাভের জন্য পাঠানো হত।
(4) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান:
মধ্যযুগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইসলামীয় শিক্ষা দেওয়া হত। গৃহে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষার জন্য ‘মক্তব’ এবং মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য ‘মাদ্রাসা’ গড়ে উঠেছিল।
- গৃহশিক্ষা: ধনীব্যক্তিরা তাঁদের শিশুর পড়াশোনার জন্য গৃহশিক্ষক নিযুক্ত করতেন। ওই শিক্ষকরা শিশুর সার্বিক বিকাশের দায়িত্ব গ্রহণ করতেন। শাসক সুলতানদের সন্তানের পঠনপাঠন ‘হারেম’-এ শুরু হত। তাদের শিক্ষার জন্য একজন ‘খোজা’** নিয়োগ করা হত। মোট কথা, ইসলামীয় শিক্ষাব্যবস্থায় গৃহ বা পরিবারকে শিক্ষার একটি সংগঠন (organisation) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হত।
- মক্তব: মধ্যযুগে নিয়মতান্ত্রিক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণের জন্য শিশুকে ‘মক্তব’-এ পাঠানো হত। মসজিদে বা মসজিদ সংলগ্ন কোনো গৃহে ‘মক্তব’ বসত। মক্তবে শিশুর শিক্ষাদানের দায়িত্ব মৌলবির ওপর ন্যস্ত ছিল। সরকার বা শিক্ষানুরাগী বিত্তবান ব্যক্তি বা স্থানীয় অধিবাসীবৃন্দ মক্তবে ‘মৌলবি’ নিয়োগ করতেন। মক্তবের প্রধান কাজ ছিল শিক্ষার্থীদের অক্ষরজ্ঞান লাভে সহায়তা করা এবং ধর্মবিষয়ক শিক্ষার পাঠ দান করা।
- মাদ্রাসা: ইসলামীয় শিক্ষাব্যবস্থায় মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলিকে ‘মাদ্রাসা’ বলা হত। মাদ্রাসাগুলিও মসজিদ বা দরগার নিকটবর্তী অংশে গড়ে উঠত। প্রতিটি মাদ্রাসাতে প্রার্থনার জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান থাকত। কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন এই মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করত। তবে মাদ্রাসাগুলি সরকারি অনুদানও লাভ করত। মাদ্রাসার খরচ চলত শিক্ষানুরাগী বিত্তবান ব্যক্তিদের অর্থানুকূল্যে এবং সরকারি অনুদানের ভিত্তিতে।
- উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র: মস্তব ও মাদ্রাসার পাশাপাশি মধ্যযুগে উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতে অনেকগুলি উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছিল। ওই প্রতিষ্ঠানগুলি কোনো ধর্মগুরুকে কেন্দ্র করে দরগার মাধ্যমে পরিচালিত হত। দেশবিদেশ থেকে বহু শিক্ষার্থী ওই উচ্চশিক্ষার কেন্দ্রগুলিতে পড়াশোনার জন্য আসত। ভারতের জৌনপুর, অযোধ্যা প্রভৃতি স্থানে ওই ধরনের উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল। ওই শিক্ষাকেন্দ্রগুলি বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষার সঙ্গে তুলনীয়।
(5) শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক:
প্রাচীন যুগের মতো মধ্যযুগের অর্থাৎ ইসলামীয় যুগের শিক্ষাব্যবস্থাতেও শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর ও মধুর। [i] ইসলামি অনুশাসনে উলেমাদের অবশ্যই সৎ চরিত্রের হতে হত। [ii] চরিত্রবান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থীর পিতা-পুত্রের সম্পর্ক ছিল। শিক্ষকের স্নেহের ছায়ায় শিক্ষার্থীর নৈতিক জীবন গড়ে উঠত। [iii] ইসলামীয় শিক্ষাব্যবস্থায় সমাজ যেমন শিক্ষককে শ্রদ্ধার চোখে দেখত, তেমনই শিক্ষার্থীরাও তাঁকে পিতৃতুল্য মনে করত। [iv] অনেক মাদ্রাসায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থী একত্রে বসবাস করত। এই ধরনের আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত পারস্পরিক সান্নিধ্যের ফলে শিক্ষার্থীর জীবনধারার ওপর শিক্ষকের গভীর প্রভাব পড়ত। ফিরোজ তুঘলক প্রতিষ্ঠিত ফিরোজশাহী মাদ্রাসাতেও শিক্ষক-শিক্ষার্থী একত্রে বসবাস করতেন।
(6) শিক্ষাদান পদ্ধতি:
মধ্যযুগের ইসলামীয় শিক্ষাব্যবস্থায় ‘মক্তব’ এবং ‘মাদ্রাসা‘-এই দুই ভিন্নধর্মী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যথাক্রমে প্রাথমিক শিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষা দানের প্রথা প্রচলিত ছিল। তাই এখানে পৃথকভাবে মক্তব এবং মাদ্রাসার শিক্ষাদান পদ্ধতি আলোচনা করা হল।
আরও পড়ুন | Link |
পুঁইমাচা গল্পের শূন্যস্থান পূরণ | Click Here |
বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা পর্ব ২ | Click Here |
বৃদ্ধি ও বিকাশের অর্থ প্রশ্ন উত্তর | Click Here |