শব্দার্থতত্ত্ব MCQ প্রশ্ন উত্তর ক্লাস 12 তৃতীয় সেমিস্টার বাংলা

শব্দার্থতত্ত্ব MCQ প্রশ্ন উত্তর ক্লাস 12 তৃতীয় সেমিস্টার বাংলা | HS Bangla 3rd Semester Class 12

শব্দার্থতত্ত্ব MCQ প্রশ্ন উত্তর
শব্দার্থতত্ত্ব MCQ প্রশ্ন উত্তর ক্লাস 12 তৃতীয় সেমিস্টার বাংলা | HS Bangla 3rd Semester Class 12

১। শব্দার্থ’ বলতে আমরা বুঝি
(ক) শব্দের সঙ্গে শব্দ বা শব্দগুচ্ছের সম্পর্ক
(খ) শব্দের সঙ্গে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছের সম্পর্ক
(গ) শব্দের সঙ্গে বাক্য বা বাক্যাংশের সম্পর্ক
(ঘ) উপরোক্ত কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (ক) শব্দের সঙ্গে শব্দ বা শব্দগুচ্ছের সম্পর্ক

২। ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় ভাষার অর্থযুক্ত নানা অংশ এবং অর্থ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় আলোচিত হয়, সেই শাখাটির নাম
(ক) ধ্বনিতত্ত্ব
(খ) বাক্যতত্ত্ব
(গ) শব্দার্থতত্ত্ব
(ঘ) রূপতত্ত্ব।
উত্তরঃ (গ) শব্দার্থতত্ত্ব

৩। শব্দার্থতত্ত্ব হল
(ক) মানবভাষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দের অর্থ এবং তার কার্যক্রিয়া সম্পর্কিত আলোচনা
(খ) কেবল শব্দের বাইরের প্রকাশরূপ সম্পর্কিত আলোচনা
(গ) কেবল ভাষার অন্তর্নিহিত অর্থ সংক্রান্ত আলোচনা
(ঘ) উপরোক্ত কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (ক) মানবভাষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দের অর্থ এবং তার কার্যক্রিয়া সম্পর্কিত আলোচনা

৪। ‘শব্দার্থতত্ত্ব’- এর ইংরেজি পরিভাষাটি হল – –
(ক) Symantics
(খ) Symantic
(গ) Semantica
(ঘ) Semantics
উত্তরঃ (ঘ) Semantics

৫। ‘Semantics’ -শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?
(ক) মাইকেল ব্রেল
(খ) নোয়াম চমস্কি
(গ) আর এল ট্রাস্ক
(ঘ) পিটার মার্ক রজেট।
উত্তরঃ (খ) নোয়াম চমস্কি

৬। নিম্নের কোনটি ‘শব্দার্থতত্ত্ব’-এর নামান্তর?
(ক) বাগ্বিজ্ঞান
(খ) বাগার্থবিজ্ঞান
(গ) বাগর্থবিজ্ঞান
(ঘ) শব্দবিজ্ঞান।
উত্তরঃ (গ) বাগর্থবিজ্ঞান

৭। শব্দার্থকে কত ভাগে ভাগ করা হয়?
(ক) একভাগে
(খ) দুইভাগে
(গ) তিনভাগে
(ঘ) চারভাগে।
উত্তরঃ (খ) দুইভাগে

৮। শব্দার্থের প্রথম ভাগটির নাম
(ক) নিদর্শন
(খ) খণ্ডিত অর্থ
(গ) সাধারণ অর্থ
(ঘ) ব্যঞ্জনা অর্থ
উত্তরঃ (গ) সাধারণ অর্থ

৯। শব্দার্থের দ্বিতীয় ভাগটির নাম
(ক) সাধারণ অর্থ
(খ) নিদর্শন
(গ) খণ্ডিত অর্থ
(ঘ) ব্যঞ্জনা অর্থ
উত্তরঃ (খ) নিদর্শন

১০। অভিধানে আমরা যেভাবে অর্থকে পাই, তা হল –
(ক) সাধারণ অর্থ
(খ) নিদর্শন
(গ) বিশেষ অর্থ
(ঘ) উপরোক্ত কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ক) সাধারণ অর্থ

১১। ‘অন্তরিক্ষ’, ‘শূন্য’ ইত্যাদি কোন্ শব্দের সমার্থক শব্দ?
(ক) অজিন
(খ) খেচর
(গ) আকাশ
(ঘ) খালি বা ফাঁকা
উত্তরঃ (গ) আকাশ

১২। ‘মার্জার’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ কী?
(ক) ইঁদুর
(খ) আকাশ
(গ) পাখি
(ঘ) বিড়াল
উত্তরঃ (ঘ) বিড়াল

১৩। একটি শব্দ এবং সেই শব্দ যে বস্তুকে নির্দেশ করে, তাদের মধ্যেকার সম্পর্ককে বলা হয় –
(ক) বিশেষ অর্থ
(খ) সাধারণ অর্থ
(গ) নিদর্শন
(ঘ) প্রয়োগতত্ত্ব
উত্তরঃ (গ) নিদর্শন

১৪। ‘এবং’, ‘কিন্তু’, ‘সুতরাং’, ‘অতএব’, ‘কোনো’ – এগুলি শব্দার্থের কোন্ শ্রেণির অন্তর্গত?
(ক) সাধারণ অর্থ
(খ) বিশেষ অর্থ
(গ) নিদর্শন
(ঘ) উপরোক্ত কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ক) সাধারণ অর্থ

১৫। শব্দার্থ ভাষাবিজ্ঞানের কোন্ গঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত?
(ক) বাক্যের পদগুচ্ছ গঠন
(খ) ভাষার অধিগঠন
(গ) বাক্যের অধিগঠন
(ঘ) ভাষার অধোগঠন
উত্তরঃ (ঘ) ভাষার অধোগঠন

১৬। শব্দার্থ পরিবর্তনের স্বরূপটি প্রথম সমক্ষে আনেন
(ক) আর এল ট্রাস্ক
(খ) মাইকেল ব্রেল
(গ) ডেভিড হে
(ঘ) উইলিয়াম জোন্স
উত্তরঃ (ক) আর এল ট্রাস্ক

১৭। শব্দার্থতত্ত্বের এক অন্যতম বিভাগ
(ক) শৈলীভিত্তিক শব্দার্থতত্ত্ব
(খ) তুলনামূলক তত্ত্ব
(গ) ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্ব
(ঘ) বর্ণনামূলক শব্দার্থতত্ত্ব
উত্তরঃ (গ) ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্ব

১৮। ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্বের ধারাটি প্রবর্তন করেন
(ক) পিটার রজেট
(খ) ব্লুমফিল্ড
(গ) নোয়াম চমস্কি
(ঘ) মাইকেল ব্রেল
উত্তরঃ (ঘ) মাইকেল ব্রেল

১৯। ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় হল –
(ক) সময়ের সঙ্গে ভাষায় অর্থের পরিবর্তন সম্পর্কিত আলোচনা
(খ) ভাষায় অর্থের উপর তার প্রসঙ্গের প্রভাব সংক্রান্ত আলোচনা
(গ) এক শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের অর্থভিত্তিক সম্পর্কের আলোচনা
(ঘ) স্বতন্ত্র শব্দের অর্থবিশ্লেষণমূলক আলোচনা
উত্তরঃ (ক) সময়ের সঙ্গে ভাষায় অর্থের পরিবর্তন সম্পর্কিত আলোচনা

২০। স্বতন্ত্র শব্দের অর্থবিশ্লেষণ এবং এক শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের অর্থভিত্তিক সম্পর্ক আলোচিত হয় –
(ক) ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্বে
(খ) শব্দভিত্তিক শব্দার্থতত্ত্বে
(গ) উপরোক্ত দুটিতেই
(ঘ) উপরোক্ত কোনোটিতেই নয়
উত্তরঃ (খ) শব্দভিত্তিক শব্দার্থতত্ত্বে

২১। শব্দের অন্তর্নিহিত সাধারণ উপাদানগুলিকে শনাক্ত করা যায়-
(ক) শব্দভিত্তিক শব্দার্থতত্ত্বে
(খ) প্রয়োগতত্ত্বে
(গ) উপাদানমূলক তত্ত্বে
(ঘ) বর্ণনামূলক শব্দার্থতত্ত্বে
উত্তরঃ (গ) উপাদানমূলক তত্ত্বে

২২। শব্দ কোন্ উপাদানের সমষ্টি-
(ক) অর্থ
(খ) বর্ণ
(গ) শব্দ
(ঘ) অক্ষর
উত্তরঃ (ক) অর্থ

২৩। শব্দসমষ্টিকে সহজেই অর্থের ভিত্তিতে শ্রেণিভুক্ত করা যায় শব্দার্থের যে তত্ত্বে, তা হল-
(ক) সত্যসাপেক্ষ তত্ত্ব
(খ) উপাদানমূলক তত্ত্ব
(গ) বিষয়মূলক তত্ত্ব
(ঘ) প্রয়োগতত্ত্ব
উত্তরঃ (খ) উপাদানমূলক তত্ত্ব

২৪। শব্দের স্বাভাবিক শ্রেণি নির্ধারণ এবং বিন্যাসের আলোচনায় বিশেষভাবে উপযোগী তত্ত্বটি হল-
(ক) প্রয়োগতত্ত্ব
(খ) ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্ব
(গ) উপাদানমূলক তত্ত্ব
(ঘ) বিষয়মূলক তত্ত্ব
উত্তরঃ (গ) উপাদানমূলক তত্ত্ব

২৫। পুরুষ: বৃষ, মোরগ – এখানে শব্দগুলির মধ্যে সাধারণ অর্থ উপাদান কোনটি?
(ক) পুরুষজাতীয় এবং প্রাপ্তবয়স্ক
(খ) পুরুষজাতীয় এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক
(গ) নারীজাতীয় এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক
(ঘ) অপ্রাপ্তবয়স্ক
উত্তরঃ (ক) পুরুষজাতীয় এবং প্রাপ্তবয়স্ক

২৬। শিশু: বাছুর, মোরগছানা – এখানে শব্দগুলির মধ্যে সাধারণ অর্থ উপাদানটি হল
(ক) পুরুষজাতীয় এবং প্রাপ্তবয়স্ক
(খ) নারীজাতীয় ও অপ্রাপ্তবয়স্ক
(গ) প্রাপ্তবয়স্ক
(ঘ) অপ্রাপ্তবয়স্ক
উত্তরঃ (ঘ) অপ্রাপ্তবয়স্ক

২৭। সত্যসাপেক্ষ তত্ত্বের মূল বিষয়বস্তু হল-
(ক) সাধারণ ভাষার অর্থকে বোঝা
(খ) সাধারণ ভাষার অর্থকে পরিবর্তন করা
(গ) সাধারণ ভাষার অর্থকে সত্যতায় পরিবর্তিত করা
(ঘ) উপরোক্ত সবকটিই
উত্তরঃ (গ) সাধারণ ভাষার অর্থকে সত্যতায় পরিবর্তিত করা

২৮। শব্দার্থের সত্যসাপেক্ষ তত্ত্বটির প্রবক্তা হলেন-
(ক) ডোনাল্ড ডেভিডসন
(খ) পিটার মার্ক রজেট
(গ) নোয়াম চমস্কি
(ঘ) হেন্ডারসন গাউনার
উত্তরঃ (ক) ডোনাল্ড ডেভিডসন

২৯। ‘Semantics of Logic’ গ্রন্থের রচয়িতা-
(ক) নোয়াম চমস্কি
(খ) রবার্ট মরিসন
(গ) ড্যানিয়েল জোন্স
(ঘ) ডোনাল্ড ডেভিডসন
উত্তরঃ (ঘ) ডোনাল্ড ডেভিডসন

৩০। কোন্ গ্রন্থে প্রথম সত্যসাপেক্ষ তত্ত্বটির কথা উত্থাপন করা হয়?
(ক) Aspects of the Theory of Syntax
(খ) Essai De Semantique
(গ) Semantics of Logic
(ঘ) Applied Linguistics
উত্তরঃ (গ) Semantics of Logic

৩১। ভাষার অর্থের আলোচনার ক্ষেত্রে বিষয়মূলক তত্ত্বের মূল বক্তব্য-
(ক) প্রসঙ্গের বা পরিপ্রেক্ষিতের তাৎপর্যের উপর গুরুত্ব আরোপ
(খ) বক্তার কণ্ঠস্বরের উপর গুরুত্ব আরোপ
(গ) অর্থের উপর গুরুত্ব আরোপ
(ঘ) বাক্যগঠনের উপর গুরুত্ব আরোপ
উত্তরঃ (ক) প্রসঙ্গের বা পরিপ্রেক্ষিতের তাৎপর্যের উপর গুরুত্ব আরোপ

৩২। ‘কথা’ শব্দটি নিম্নোক্ত কোন্ অর্থে প্রয়োগ করা যায়?
(ক) সবার মুখেই রবীন্দ্রনাথের কথা (প্রসঙ্গ)
(খ) নিখিল কথা দিয়ে কথা (প্রতিশ্রুতি) রাখে না
(গ) গুরুজনের কথা (উপদেশ) অবহেলা করতে নেই
(ঘ) উপরোক্ত সবকটি অর্থই প্রযোজ্য
উত্তরঃ (ঘ) উপরোক্ত সবকটি অর্থই প্রযোজ্য

৩৩। ভাষাকে একটি কার্যপ্রক্রিয়া হিসেবে দ্যাখে-
(ক) সত্যসাপেক্ষ তত্ত্ব
(খ) উপাদানমূলক তত্ত্ব
(গ) ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্ব
(ঘ) বিষয়মূলক তত্ত্ব
উত্তরঃ (ঘ) বিষয়মূলক তত্ত্ব

৩৪। ভাষার ব্যবহার সবসময়েই হয়ে থাকে-
(ক) সামাজিক পরিপ্রেক্ষিতে
(খ) রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে
(গ) ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিতে
(ঘ) অর্থনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে
উত্তরঃ (ক) সামাজিক পরিপ্রেক্ষিতে

৩৫। ভাষার সামাজিক উপাদান কত প্রকার?
(ক) এক
(খ) দুই
(গ) তিন
(ঘ) চার
উত্তরঃ (খ) দুই

৩৬। শব্দের অর্থের অভিন্নতা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়-
(ক) ব্যাপকার্থকতা
(খ) বিপরীতার্থকতা
(গ) সমার্থকতা
(ঘ) শব্দার্থতা
উত্তরঃ (গ) সমার্থকতা

৩৭। শব্দের সমার্থকতা হল-
(ক) শব্দের বৈসাদৃশ্যমূলক সম্পর্ক
(খ) প্রতিশব্দমূলক সম্পর্ক
(গ) পদদ্বৈত সম্পর্ক
(ঘ) উপরোক্ত সবকটিই
উত্তরঃ (খ) প্রতিশব্দমূলক সম্পর্ক

৩৮। পুত্র: ছেলে, তনয় – কীসের উদাহরণ?
(ক) সমার্থকতা
(খ) বিপরীতার্থকতা
(গ) ব্যাপকার্থকতা
(ঘ) উপরোক্ত কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ক) সমার্থকতা

৩৯। ‘মেকুর’ শব্দের অর্থ হল
(ক) বিড়াল
(খ) কুকুর
(গ) প্রাণী
(ঘ) গাভী
উত্তরঃ (ক) বিড়াল

৪০। দুই বা ততোধিক শব্দের মধ্যে অর্থের বা মানের বৈপরীত্য থাকলে হয়-
(ক) ব্যাপকার্থকতা
(খ) সমার্থকতা
(গ) বিপরীতার্থকতা
(ঘ) উপরোক্ত কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (গ) বিপরীতার্থকতা

৪১। বাংলায় অনেকক্ষেত্রে বিপরীতার্থক শব্দ গঠন করা হয়-
(ক) নেতিবাচক উপসর্গযোগে
(খ) স্বতন্ত্র বিপরীতার্থক শব্দযোগে
(গ) উপরোক্ত দুটিই
(ঘ) উপরোক্ত কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (গ) উপরোক্ত দুটিই

৪২। নিম্নের কোনটি নেতিবাচক উপসর্গযোগে সৃষ্ট বৈপরীত্যের উদাহরণ?
(ক) বৃষ্টি-অনাবৃষ্টি
(খ) ভালো-মন্দ
(গ) দুরন্ত-শান্ত
(ঘ) অগ্রজ-অনুজ
উত্তরঃ (ক) বৃষ্টি-অনাবৃষ্টি

৪৩। স্বতন্ত্র বিপরীতার্থক শব্দযোগে গঠিত বৈপরীত্যটি হল-
(ক) ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক
(খ) আবাদী-অনাবাদী
(গ) সচল-অচল
(ঘ) ভালো-মন্দ
উত্তরঃ (ঘ) ভালো-মন্দ

৪৪। একটি শব্দের অর্থ অপর শব্দের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে-
(ক) বিপরীতার্থকতায়
(খ) সমার্থকতায়
(গ) ব্যাপকার্থকতায়
(ঘ) উপরোক্ত কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (গ) ব্যাপকার্থকতায়

৪৫। ‘আর্য-অনার্য’ – এটি যার উদাহরণ, তা হল-
(ক) সমার্থকতা
(খ) বিপরীতার্থকতা
(গ) অর্থান্তরভুক্তি
(ঘ) পদান্তরতা
উত্তরঃ (খ) বিপরীতার্থকতা

৪৬। ‘ব্যাপকার্থকতা’ অন্য কী নামে পরিচিত?
(ক) অর্থান্তরভুক্তি
(খ) অর্থান্তরন্যাস
(গ) ভিন্নার্থক শব্দভুক্তি
(ঘ) শব্দান্তরন্যাস
উত্তরঃ (ক) অর্থান্তরভুক্তি

৪৭। রং-লাল, নীল, সবুজ পাখি-কাক, চড়ুই, টিয়া ফল-আম, জাম, লিচু ফুল-গোলাপ, চাঁপা, জুঁই – উপরের দৃষ্টান্তগুলি হল-
(ক) সমার্থকতা
(খ) বিপরীতার্থকতা
(গ) অর্থান্তরভুক্তি
(ঘ) সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ
উত্তরঃ (গ) অর্থান্তরভুক্তি

৪৮। ‘আলু’ শব্দটি জার্মান ভাষায় ব্যবহৃত হয়–
(ক) ফলের অধিনাম হিসেবে
(খ) ফসলের অধিনাম হিসেবে
(গ) সবজির অধিনাম হিসেবে
(ঘ) সবজির অধিনামের উপনাম হিসেবে
উত্তরঃ (ক) ফলের অধিনাম হিসেবে

৪৯। অধিনাম এবং উপনাম শব্দ দুটি কোন্ প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়?
(ক) থিসরাস
(খ) সমার্থকতা
(গ) বিপরীতার্থকতা
(ঘ) ব্যাপকার্থকতা
উত্তরঃ (ঘ) ব্যাপকার্থকতা

৫০। ‘থিসরাস’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল–
(ক) অভিধান
(খ) শব্দকোশ
(গ) রত্নাগার
(ঘ) শব্দভাণ্ডার
উত্তরঃ (গ) রত্নাগার

৫১। ‘থিসরাস’ হল একটি–
(ক) পোর্তুগিজ শব্দ
(খ) জাপানি শব্দ
(গ) গ্রিক শব্দ
(ঘ) ফরাসি শব্দ
উত্তরঃ (গ) গ্রিক শব্দ

৫২। কোন্ গ্রিক শব্দ থেকে থিসরাস (Thesaurus) শব্দটির উদ্ভব?
(ক) Thēsaurós
(খ) Thesouras
(গ) Thesaurus
(ঘ) Thesaurosesl
উত্তরঃ (ক) Thēsaurós

৫৩। গ্রিক শব্দ Thēsaurós-এর অর্থ হল–
(ক) পাত্র
(খ) আধার
(গ) ভাঁড়
(ঘ) ভাণ্ডার
উত্তরঃ (ঘ) ভাণ্ডার

৫৪। সংস্কৃত ভাষায় লিখিত থিসরাস–
(ক) অমরকোষ
(খ) রত্নাগার
(গ) শব্দকোশ
(ঘ) মালকোশ
উত্তরঃ (ক) অমরকোষ

৫৫। ‘অমর কোষ’ গ্রন্থের রচয়িতা–
(ক) শ্রী হর্ষ
(খ) শ্রী অমর সিংহ
(গ) অশ্ব ঘোষ
(ঘ) ভবভূতি
উত্তরঃ (খ) শ্রী অমর সিংহ

৫৬। ‘থিসরাস’ অভিধানের আবিষ্কর্তা হলেন–
(ক) উইলিয়ম জোন্স
(খ) হেন্ডারসন গাউনার
(গ) পিটার মার্ক রজেট
(ঘ) আর এল ট্রাস্ক
উত্তরঃ (গ) পিটার মার্ক রজেট

৫৭। পিটার মার্ক রজেটের থিসরাস জাতীয় অভিধানের রচনাকাল–
(ক) ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দ
(খ) ১৮২২ খ্রিস্টাব্দ
(গ) ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দ
(ঘ) ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দ
উত্তরঃ (ক) ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দ

৫৮। রজেটের থিসরাস অভিধানের প্রকাশকাল–
(ক) ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দ
(খ) ১৮২২ খ্রিস্টাব্দ
(গ) ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দ
(ঘ) ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দ
উত্তরঃ (ঘ) ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দ

৫৯। ‘থিসরাস’-এ শব্দ বিন্যস্ত থাকে–
(ক) বর্ণানুক্রমিক
(খ) শব্দানুক্রমিক
(গ) বিষয়ানুক্রমিক গুচ্ছাকারে
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (গ) বিষয়ানুক্রমিক গুচ্ছাকারে

৬০। একটি বাংলা থিসরাসের (অশোক মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত) নাম হল–
(ক) শব্দকোশ
(খ) সমার্থশব্দকোশ
(গ) রত্নাগার
(ঘ) মালকোশ
উত্তরঃ (খ) সমার্থশব্দকোশ

৬১। নিম্নের কোনটি বাংলা-ইংরেজি দ্বিভাষিক থিসরাস?
(ক) সংসদ সমার্থশব্দকোশ
(খ) অমরকোষ
(গ) মণিমঞ্জুষা
(ঘ) শব্দকোশ
উত্তরঃ (গ) মণিমঞ্জুষা

৬২। ‘মণিমঞ্জুষা’ থিসরাসের সংকলকের নাম–
(ক) পাণিনি
(খ) অশ্বঘোষ
(গ) ভবভূতি
(ঘ) জগন্নাথ চক্রবর্তী
উত্তরঃ (ঘ) জগন্নাথ চক্রবর্তী

৬৩। পিটার মার্ক রজেটের থিসরাস অনুসরণে ঢাকার বাংলা অ্যাকাডেমি থেকে প্রকাশিত হয় একটি বাংলা থিসরাস, সেটির নাম–
(ক) মালকোশ
(খ) শব্দকোশ
(গ) যথাশব্দ
(ঘ) অভিধান
উত্তরঃ (গ) যথাশব্দ

৬৪। ঢাকা থেকে প্রকাশিত বাংলা থিসরাসের সংকলকের নাম–
(ক) জীনাত ইমতিয়াজ আলি
(খ) মুহম্মদ হাবিবুর রহমান
(গ) মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
(ঘ) হাসিবুর রহমান
উত্তরঃ (খ) মুহম্মদ হাবিবুর রহমান

৬৫। “To Find the word, or words, by which idea may be most fitly and optly expressed.”– উক্তিটি করেন–
(ক) ডোনাল্ড ডেভিডসন
(খ) নোয়াম চমস্কি
(গ) পিটার মার্ক রজেট
(ঘ) মাইকেল ব্রেল
উত্তরঃ (গ) পিটার মার্ক রজেট

৬৬। ‘Thesaurus of English Words and Phrases’ গ্রন্থটি কার –
(ক) পিটার মার্ক রজেট
(খ) নোয়াম চমস্কি
(গ) রবার্ট মরিসন
(ঘ) জন ফ্লোরিও
উত্তরঃ (ক) পিটার মার্ক রজেট

৬৭। ‘Essai De Semantique’ গ্রন্থের রচনাকার –
(ক) আর এল ট্রাস্ক
(খ) নোয়াম চমস্কি
(গ) উইলিয়াম জোন্স
(ঘ) মাইকেল ব্রেল
উত্তরঃ (ঘ) মাইকেল ব্রেল

৬৮। ‘Aspects of the Theory of Syntax’ গ্রন্থটি রচনা করেন –
(ক) জন ফ্লোরিও
(খ) ডোনাল্ড ডেভিডসন
(গ) নোয়াম চমস্কি
(ঘ) আর এল ট্রাস্ক
উত্তরঃ (গ) নোয়াম চমস্কি

৬৯। ‘প্রয়োগতত্ত্ব’ হল –
(ক) শব্দসমষ্টিকে সহজেই অর্থের ভিত্তিতে শ্রেণিভুক্ত করা
(খ) সাধারণ ভাষার অর্থকে সত্যতায় পরিবর্তিত করা
(গ) ভাষার অর্থের উপর তার সামাজিক পরিস্থিতির প্রভাব সম্পর্কিত আলোচনা
(ঘ) ভাষার অর্থের আলোচনার ক্ষেত্রে ধর্মের তাৎপর্যের গুরুত্ব আলোচনা
উত্তরঃ (গ) ভাষার অর্থের উপর তার সামাজিক পরিস্থিতির প্রভাব সম্পর্কিত আলোচনা

৭০। ‘কটা বাজে!’
‘রবি তো বাড়ি এসে গিয়েছে।’ – বক্তা ও শ্রোতার কথোপকথনটির অর্থ বোঝা সম্ভব হয় কোন্ তত্ত্বের সাহায্যে –
(ক) প্রয়োগতত্ত্ব
(খ) বিষয়মূলক তত্ত্ব
(গ) উপাদানমূলক তত্ত্ব
(ঘ) সত্যসাপেক্ষ তত্ত্ব
উত্তরঃ (ক) প্রয়োগতত্ত্ব

৭১। শব্দার্থ পরিবর্তনের স্থূল কারণের ক-টি উপবিভাগ?
(ক) একটি
(খ) দুটি
(গ) তিনটি
(ঘ) চারটি
উত্তরঃ (গ) তিনটি

৭২। নিম্নের কোন্টি শব্দার্থ পরিবর্তনের স্থূল কারণের অন্তর্গত?
(ক) ভৌগোলিক কারণ
(খ) সাদৃশ্যজনিত কারণ
(গ) শৈথিল্যজনিত কারণ
(ঘ) অলংকার প্রয়োগজনিত কারণ
উত্তরঃ (ক) ভৌগোলিক কারণ

৭৩। নিম্নের কোনটি শব্দার্থ পরিবর্তনের সূক্ষ্ম কারণের অন্তর্ভুক্ত?
(ক) ভৌগোলিক কারণ
(খ) উপকরণগত কারণ
(গ) ঐতিহাসিক কারণ
(ঘ) অজ্ঞতাজনিত কারণ
উত্তরঃ (ঘ) অজ্ঞতাজনিত কারণ।

৭৪। পদার্থের সাদৃশ্যহেতু শব্দার্থের পরিবর্তন ঘটে যে কারণে-
(ক) উপকরণগত কারণে
(খ) সাদৃশ্যজনিত কারণে
(গ) প্রসঙ্গ পরিবর্তনজনিত কারণে
(ঘ) শব্দসংক্ষেপজনিত কারণে
উত্তরঃ (খ) সাদৃশ্যজনিত কারণে।

৭৫। এক বস্তুর সঙ্গে অন্য বস্তুর সাদৃশ্যবশত অর্থ পরিবর্তিত হয় কী কারণে?
(ক) উপকরণগত কারণে
(খ) ভৌগোলিক কারণে
(গ) ঐতিহাসিক কারণে
(ঘ) সাদৃশ্যজনিত কারণে
উত্তরঃ (ঘ) সাদৃশ্যজনিত কারণে।

৭৬। সময়ের সঙ্গে ভাষায় অর্থের পরিবর্তন-এই বিষয়ে শব্দার্থতত্ত্বের কোন্ শাখায় আলোচনা করা হয়?
(ক) সংস্কারজনিত
(খ) শৈথিল্যজনিত
(গ) ঐতিহাসিক
(ঘ) ভৌগোলিক
উত্তরঃ (গ) ঐতিহাসিক।

৭৭। স্থান এবং পরিবেশ ভিন্ন হলে একই শব্দের অর্থপার্থক্য ঘটে যে কারণে-
(ক) ভৌগোলিক কারণে
(খ) ঐতিহাসিক কারণে
(গ) প্রসঙ্গ পরিবর্তনজনিত কারণে
(ঘ) সংস্কারজনিত কারণে
উত্তরঃ (ক) ভৌগোলিক কারণে।

৭৮। অনেকসময় কিছু কিছু অশুভ শব্দ সুভাষণ রীতির মাধ্যমে উচ্চারিত হয়ে নতুন রূপ পায়, তথা শব্দার্থ পরিবর্তন ঘটে-এটি কোন্ কারণে হয়?
(ক) শোভনতাজনিত কারণে
(খ) সংস্কারজনিত কারণে
(গ) শৈথিল্যজনিত কারণে
(ঘ) শব্দ সংক্ষেপজনিত কারণে
উত্তরঃ (খ) সংস্কারজনিত কারণে।

৭৯। অনেকক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বাক্যটি উচ্চারণ না করে এবং অর্থের পরিবর্তন না ঘটিয়ে সংক্ষিপ্তাকার উচ্চারণ করা হয় যে কারণে, তা হল-
(ক) উপকরণগত কারণ
(খ) শব্দ সংক্ষেপজনিত কারণ
(গ) সংস্কারজনিত কারণ
(ঘ) শৈথিল্যজনিত কারণ
উত্তরঃ (খ) শব্দ সংক্ষেপজনিত কারণ।

৮০। অনেকসময় অপ্রীতিকর কোনো বিষয় কিংবা শ্রুতিকটু শব্দের বদলে নতুন শব্দ প্রয়োগের ফলে শব্দার্থের পরিবর্তন ঘটে। এর কারণ-
(ক) শোভনতাজনিত কারণ
(খ) শব্দ সংক্ষেপজনিত কারণ
(গ) প্রসঙ্গ পরিবর্তনজনিত কারণ
(ঘ) সংস্কারজনিত কারণ
উত্তরঃ (ক) শোভনতাজনিত কারণ।

৮১। এমন অনেক বড়ো শব্দ আছে যেগুলির সংক্ষিপ্তরূপে উচ্চারণের ফলে অর্থের পরিবর্তন ঘটে।-এটি যে কারণে হয়, তা হল-
(ক) শোভনতাজনিত কারণ
(খ) শৈথিল্যজনিত কারণ
(গ) শব্দ সংক্ষেপজনিত কারণ
(ঘ) প্রসঙ্গ পরিবর্তনজনিত কারণ
উত্তরঃ (গ) শব্দ সংক্ষেপজনিত কারণ।

৮২। বহুসংখ্যক বস্তুর নামকরণের ক্ষেত্রে কাব্যিক শব্দ প্রয়োগের ফলে প্রদত্ত নামটিই বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে।-এর জন্য কোন্ কারণ দায়ী?
(ক) সাদৃশ্যজনিত কারণ
(খ) অলংকার প্রয়োগজনিত কারণ
(গ) প্রসঙ্গ পরিবর্তনজনিত কারণ
(ঘ) সংস্কারজনিত কারণ
উত্তরঃ (খ) অলংকার প্রয়োগজনিত কারণ।

৮৩। বাংলা ভাষার মতোই আরও অন্যান্য ভাষাতে এমন অনেক শব্দ আছে যেগুলির বিষয় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অর্থও পরিবর্তিত হয়।-
এক্ষেত্রে যে কারণটি নিহিত, তা হল-
(ক) প্রসঙ্গ পরিবর্তনজনিত কারণ
(খ) উপকরণগত কারণ
(গ) ভৌগোলিক কারণ
(ঘ) শব্দ সংক্ষেপজনিত কারণ
উত্তরঃ (ক) প্রসঙ্গ পরিবর্তনজনিত কারণ।

৮৪। শব্দের অভিধা-শক্তিকে বলা হয়-
(ক) লক্ষ্যার্থ
(খ) বাচ্যার্থ
(গ) ব্যঙ্গ্যার্থ
(ঘ) ব্যঞ্জনা
উত্তরঃ (খ) বাচ্যার্থ।

৮৫। শব্দের লক্ষণাশক্তি কী নামে অভিহিত?
(ক) রূপকার্থ
(খ) ব্যঙ্গ্যার্থ
(গ) লক্ষ্যার্থ
(ঘ) ব্যঞ্জনা
উত্তরঃ (ঘ) ব্যঞ্জনা।

৮৬। ব্যঙ্গ্যার্থ শব্দের কোন্ শক্তির নামান্তর?
(ক) বাচ্যার্থ
(খ) লক্ষ্যার্থ
(গ) রূপকার্থ
(ঘ) ব্যঞ্জনা
উত্তরঃ (ঘ) ব্যঞ্জনা।

৮৭। শব্দার্থের ‘অভিধা’-য় কোন্ অর্থ প্রকাশিত হয়?
(ক) মুখ্য অর্থ
(গ) ব্যঙ্গ্যার্থ
(খ) গৌণ অর্থ
(ঘ) লক্ষ্যার্থ
উত্তরঃ (ক) মুখ্য অর্থ।

৮৮। প্রাচীন বৈয়াকরণেরা ‘অভিধা’ শব্দগুলিকে ক-টি ভাগে ভাগ করেছেন?
(ক) এক
(খ) দুই
(গ) তিন
(ঘ) চার
উত্তরঃ (গ) তিন।

৮৯। ব্যুৎপত্তির বিচারে অর্থ পাওয়া যায় কোন্ ধরনের শব্দে?
(ক) যোগরূঢ় শব্দে
(গ) যৌগিক শব্দে
(খ) রূঢ় শব্দে
(ঘ) জোড়কলম শব্দে
উত্তরঃ (গ) যৌগিক শব্দে

৯০। নিম্নের কোনটি যৌগিক শব্দ?
(ক) গাইয়ে
(খ) চেয়ার
(গ) আদিত্য
(ঘ) হরিণ
উত্তরঃ (ক) গাইয়ে।

৯১। যখন শব্দ যৌগিক অর্থসমষ্টির মধ্য থেকে বিশেষ কোনো একটিকেই গ্রহণ করে, তখন সেটি হয়
(ক) রূঢ় শব্দ
(খ) যৌগিক শব্দ
(গ) যৌগিক শব্দ
(ঘ) মৌলিক শব্দ
উত্তরঃ (ক) রূঢ় শব্দ

৯২। ‘জলদ’ কোন্ ধরনের শব্দ?
(ক) রূঢ় শব্দ
(খ) যৌগিক শব্দ
(গ) যোগরূঢ় শব্দ
(ঘ) লক্ষ্যার্থ
উত্তরঃ (গ) যোগরূঢ় শব্দ

৯৩। প্রকৃতি-প্রত্যয়জাত অর্থকে অনুসরণ না করে শব্দ যখন কোনো নতুন অর্থ প্রকাশ করে, তখন হয়—
(ক) রূঢ় শব্দ
(খ) ব্যঙ্গ্যার্থ
(গ) ব্যঞ্জনার্থ
(ঘ) গৌণ অর্থ
উত্তরঃ (ক) রূঢ় শব্দ

৯৪। নিম্নের কোনটি রূঢ় শব্দের উদাহরণ?
(ক) ধূর্তামি
(খ) প্রবীণ
(গ) বাঁশি
(ঘ) পেনসিল
উত্তরঃ (খ) প্রবীণ

৯৫। শব্দার্থের ‘লক্ষণা’-য় কোন্ অর্থ প্রকাশিত হয়?
(ক) মুখ্য অর্থ
(খ) যৌগিক শব্দ
(গ) রূপকার্থ
(ঘ) গৌণ অর্থ
উত্তরঃ (ঘ) গৌণ অর্থ

৯৬। ‘অভিধা’ ও ‘লক্ষণা’-য় বাক্যের যে তাৎপর্যগত অর্থ প্রকাশ পায় না, তা প্রকাশিত হয়—
(ক) ব্যঞ্জনায়
(খ) যৌগিক শব্দে
(গ) রূঢ় শব্দে
(ঘ) যোগরূঢ় শব্দে
উত্তরঃ (ক) ব্যঞ্জনায়

৯৭। কালের পরিবর্তনের সঙ্গে বদলায়—
(ক) বানান
(খ) পদক্রম
(গ) শব্দার্থ
(ঘ) ভাষা
উত্তরঃ (গ) শব্দার্থ

৯৮। শব্দার্থের পরিবর্তনকে সাধারণত ক-টি ভাগে ভাগ করা যায়?
(ক) এক
(খ) দুই
(গ) তিন
(ঘ) চার
উত্তরঃ (গ) তিন

৯৯। নিম্নোক্ত কোন্টি শব্দার্থ পরিবর্তনের একটি ধারা?
(ক) শব্দার্থের প্রসার
(খ) শব্দার্থের সংকোচ
(গ) শব্দার্থের রূপান্তর
(ঘ) উপরোক্ত সবকটিই
উত্তরঃ (ঘ) উপরোক্ত সবকটিই

১০০। কোনো শব্দের আদি অর্থের হয়ে-সঙ্গে নতুন অর্থ বা অর্থসমষ্টি যোগ
(ক) অর্থের প্রসার ঘটে
(খ) অর্থের সংকোচ ঘটে
(গ) অর্থের রূপান্তর ঘটে
(ঘ) অর্থের উন্নতি ঘটে।
উত্তরঃ (ক) অর্থের প্রসার ঘটে

১০১। ‘পরশু’ শব্দটির আদি অর্থ ‘আগামীকালের পরে দিন’, আর পরিবর্তিত বা বর্তমান অর্থ ‘আগামীকালের পরের দিন এবং গতকালের আগের দিন।’ এক্ষেত্রে ঘটেছে শব্দের অর্থের—
(ক) রূপান্তর
(খ) বিস্তার
(গ) সংকোচ
(ঘ) উৎকর্ষ।
উত্তরঃ (খ) বিস্তার

১০২। অর্থের বিস্তার বা প্রসারের অন্যতম কারণ হল—
(ক) রূপক বা অতিশয়োক্তি
(খ) উপমা বা অতিশয়োক্তি
(গ) শ্লেষ বা অতিশয়োক্তি
(ঘ) বিরোধাভাস বা অতিশয়োক্তি।
উত্তরঃ (ক) রূপক বা অতিশয়োক্তি

১০৩। এদের মধ্যে কোন্ শব্দটি মিশ্র বা সংকর শব্দের উদাহরণ—
(ক) চকোলেট
(খ) আলকাতরা
(গ) মহামিছিল
(ঘ) হরতাল।
উত্তরঃ (গ) মহামিছিল

১০৪। অর্থব্যাপ্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল–
(ক) বৈসাদৃশ্য
(খ) সামান্য অর্থ থেকে বিশেষ অর্থ প্রকাশ
(গ) বিশেষ অর্থ থেকে সামান্য অর্থ প্রকাশ
(ঘ) দূরত্ব।
উত্তরঃ (গ) বিশেষ অর্থ থেকে সামান্য অর্থ প্রকাশ

১০৫। জিলিপি কী ধরনের শব্দ?
(ক) মারাঠি
(খ) তামিল
(গ) হিন্দি
(ঘ) গুজরাটি।
উত্তরঃ (গ) হিন্দি

১০৬। ‘মীরজাফর একজন ঐতিহাসিক চরিত্র, যার দ্বারা বর্তমানে যে-কোনো বিশ্বাসঘাতক ব্যক্তিকেই বোঝানো হয়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ঘটেছে শব্দের অর্থের–
(ক) বিস্তার
(খ) সংকোচ
(গ) রূপান্তর
(ঘ) উন্নতি।
উত্তরঃ (ক) বিস্তার

১০৭। ‘বর্ষ’ শব্দের আদি অর্থ ছিল ‘বর্ষাকাল’ অর্থাৎ বছরের কিছুটা সময়কে বোঝাত। কিন্তু বর্তমানে এর অর্থ দাঁড়িয়েছে ‘সম্পূর্ণ বছর’, অর্থাৎ বছরের কোনো নির্দিষ্ট অংশ নয়। -এই ধরনের শব্দার্থ পরিবর্তনকে বলে–
(ক) অর্থসংশ্লেষ
(খ) অর্থের উৎকর্ষ
(গ) অর্থবিস্তার
(ঘ) অর্থের অপকর্ষ।
উত্তরঃ (গ) অর্থবিস্তার

১০৮। ‘গাং’ শব্দের পূর্ব অর্থ ছিল ‘গঙ্গানদী’, বর্তমানে গাং-এর অর্থ ‘যে-কোনো নদী-এটি শব্দার্থ পরিবর্তনের কোন্ ধারা?
(ক) শব্দার্থের প্রসার
(খ) শব্দার্থের সংকোচ
(গ) শব্দার্থের অবনতি
(ঘ) শব্দার্থের রূপান্তর।
উত্তরঃ (ক) শব্দার্থের প্রসার

১০৯। ‘কালি’ শব্দের বর্তমান অর্থে শব্দার্থ পরিবর্তনের স্বরূপটি হল–
(ক) প্রসার
(খ) সংকোচ
(গ) রূপান্তর
(ঘ) উৎকর্ষ।
উত্তরঃ (ক) প্রসার

১১০। আদি অর্থের তুলনায় পরিবর্তিত অর্থের ব্যাপকতা কমে যায়–
(ক) শব্দার্থের সংকোচনে
(খ) শব্দার্থের প্রসারে
(গ) শব্দার্থের রূপান্তরে
(ঘ) শব্দার্থের উৎকর্ষে।
উত্তরঃ (ক) শব্দার্থের সংকোচনে

১১১। শব্দের অর্থ যখন কারণবাচক থেকে কার্যবাচক হয়, সেক্ষেত্রে শব্দার্থ পরিবর্তনে কী ঘটে?
(ক) অর্থের বিস্তার
(খ) অর্থের সংশ্লেষ
(গ) অর্থের অপকর্ষ
(ঘ) অর্থের সংকোচ।
উত্তরঃ (ঘ) অর্থের সংকোচ

১১২। অর্থসংকোচের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল–
(ক) সামান্য অর্থ থেকে বিশেষ অর্থ প্রকাশ
(খ) সাদৃশ্য
(গ) নৈকট্য
(ঘ) বিশেষ অর্থ থেকে সামান্য অর্থ প্রকাশ।
উত্তরঃ (ক) সামান্য অর্থ থেকে বিশেষ অর্থ প্রকাশ

১১৩। ‘মনুষ্য’ থেকে বাংলায় আগত ‘মুনিশ’ শব্দের অর্থ সর্ব শ্রেণির মানুষ নয়, বর্তমানে শুধুই ‘মজুর’। এক্ষেত্রে ঘটেছে শব্দের অর্থের –
(ক) বিস্তার
(খ) রূপান্তর
(গ) সংকোচ
(ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (গ) সংকোচ

১১৪। ‘অন্ন’ শব্দটির আদি অর্থ ছিল –
(ক) ভাত
(খ) খাদ্য
(গ) পরমান্ন
(ঘ) মিষ্টান্ন।
উত্তরঃ (খ) খাদ্য

১১৫। ‘অন্ন’ শব্দের আদি অর্থ ‘খাদ্য’, পরিবর্তিত অর্থ ‘ভাত’ – এটি শব্দার্থ পরিবর্তনের কোন্ ধারা?
(ক) অর্থের রূপান্তর
(খ) অর্থের প্রসার
(গ) অর্থের সংকোচ
(ঘ) এদের কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (গ) অর্থের সংকোচ

১১৬। মৃগ : যে-কোনো পশু (মৌলিক শব্দ) এবং মৃগ: হরিণ (পরিবর্তিত অর্থ), এখানে ঘটেছে–
(ক) অর্থের প্রসার
(খ) অর্থের সংকোচ
(গ) অর্থের রূপান্তর
(ঘ) অর্থের উৎকর্ষ।
উত্তরঃ (খ) অর্থের সংকোচ

১১৭। আপাতদৃষ্টিতে শব্দের আদি অর্থের সঙ্গে পরিবর্তিত নতুন অর্থের কোনো যোগসূত্র পাওয়া না গেলে তাকে বলে–
(ক) শব্দার্থের রূপান্তর
(খ) শব্দার্থের প্রসার
(গ) শব্দার্থের সংকোচ
(ঘ) শব্দার্থের উন্নতি।
উত্তরঃ (ক) শব্দার্থের রূপান্তর

১১৮। শব্দার্থের রূপান্তর’ অন্য কী কী নামে পরিচিত?
(ক) অর্থসংশ্লেষ ও অর্থসংক্রম
(খ) অর্থসংশ্লেষ ও অর্থপ্রসার
(গ) অর্থসংক্রমণ ও অর্থসংশ্লেষ
(ঘ) অর্থসংকোচ ও অর্থসংক্রম
উত্তরঃ (ক) অর্থসংশ্লেষ ও অর্থসংক্রম

১১৯। অর্থসংকোচ ও অর্থপ্রসার-এই দুটি প্রক্রিয়া একই সঙ্গে ঘটতে পারে-
(ক) শব্দার্থের উৎকর্ষে
(খ) শব্দার্থের অপকর্ষে
(গ) শব্দার্থের রূপান্তরে
(ঘ) প্রয়োগতত্ত্বে
উত্তরঃ (গ) শব্দার্থের রূপান্তরে

১২০। ‘উপবাস’ শব্দটির অর্থ ছিল ‘নিকটে বাস’ যার বর্তমান অর্থ ‘অনাহার-এটি শব্দার্থ পরিবর্তনের যে ধারায় পড়ে, সেটি হল-
(ক) অর্থের অবনতি
(খ) অর্থের বিস্তার
(গ) অর্থের সংকোচ
(ঘ) অর্থের রূপান্তর
উত্তরঃ (ঘ) অর্থের রূপান্তর

১২১। ‘গবেষণা’ শব্দের অর্থ ছিল ‘গোরু খোঁজা’। তার বর্তমান অর্থ ‘কোনো বিষয়ে নিয়মানুগ বিশ্লেষণ’। এটি শব্দার্থ পরিবর্তনের কোন্ ধারা?
(ক) শব্দার্থের সংকোচ
(খ) শব্দার্থের অবনতি
(গ) শব্দার্থের প্রসার
(ঘ) শব্দার্থের রূপান্তর
উত্তরঃ (ঘ) শব্দার্থের রূপান্তর

১২২। ‘তেল’ শব্দটির আদি অর্থ ছিল ‘তিলের নির্যাস’। বর্তমানে এটি যে-কোনো তৈল জাতীয় ফসলের নির্যাস অর্থে ব্যবহৃত হয়। এটি শব্দার্থ পরিবর্তনের কোন্ ধারা?
(ক) অর্থের প্রসার
(খ) অর্থের সংকোচ
(গ) অর্থের রূপান্তর
(ঘ) অর্থের অবনতি
উত্তরঃ (ক) অর্থের প্রসার

১২৩। ‘গোষ্ঠী’ শব্দের আদি অর্থ ‘গবাদিপশুর থাকার জায়গা’ এবং বর্তমান অর্থ ‘সমূহ’-এটি শব্দার্থ পরিবর্তনের কোন্ ধারা?
(ক) শব্দার্থের প্রসার
(খ) শব্দার্থের রূপান্তর
(গ) শব্দার্থের সংকোচ
(ঘ) শব্দার্থের অবনতি
উত্তরঃ (খ) শব্দার্থের রূপান্তর

১২৪। কোনো শব্দ তার আদি অর্থের তুলনায় উন্নত মানের অর্থে প্রযুক্ত হলে হয়-
(ক) শব্দার্থের উৎকর্ষ
(খ) শব্দার্থের অপকর্ষ
(গ) শব্দার্থের সংশ্লেষ
(ঘ) শব্দার্থের সংকোচ
উত্তরঃ (ক) শব্দার্থের উৎকর্ষ

১২৫। ‘মার্জনা শব্দের আদি অর্থ ঘষামাজা’ এবং বর্তমান অর্থ ‘ক্ষমা’-এটি শব্দার্থ পরিবর্তনের কোন্ ধারা?
(ক) শব্দার্থের রূপান্তর
(খ) শব্দার্থের অপকর্ষ
(গ) শব্দার্থের উৎকর্ষ
(ঘ) শব্দার্থের সংকোচ
উত্তরঃ (গ) শব্দার্থের উৎকর্ষ

১২৬। অর্থ পরিবর্তনের কারণে যখন কোনো শব্দ তার মূল অর্থের চাইতে নিম্ন মানের অর্থ ধারণ করে, তখন হয়-
(ক) শব্দার্থের সংক্রম
(গ) শব্দার্থের সংকোচ
(খ) শব্দার্থের উৎকর্ষ
(ঘ) শব্দার্থের অপকর্ষ
উত্তরঃ (ঘ) শব্দার্থের অপকর্ষ

১২৭। বাড়ন্ত শব্দের আদি বা মূল অর্থ ‘যা বৃদ্ধি পেয়েছে’ এবং শব্দার্থ পরিবর্তনের কারণে এখন তার অর্থ দাঁড়িয়েছে ‘ফুরিয়ে গিয়েছে’-এক্ষেত্রে নিম্নের কোন্ কারণটি যথাযথ?
(ক) শব্দার্থের প্রসার
(খ) শব্দার্থের উৎকর্ষ
(গ) শব্দার্থের অপকর্ষ
(ঘ) শব্দার্থের সংকোচ
উত্তরঃ (গ) শব্দার্থের অপকর্ষ

১২৮। দারুণ শব্দের আদি অর্থ-
(ক) অত্যন্ত
(খ) নির্মম
(গ) কাষ্ঠনির্মিত
(ঘ) সুন্দর
উত্তরঃ (গ) কাষ্ঠনির্মিত

১২৯। ‘কলম’ শব্দের আদি ও বর্তমান অর্থ হল-
(ক) স্বর বা খাগ এবং লেখনী
(খ) শর বা খাগ এবং লেখনী
(গ) শর বা খাগ এবং লিখন
(ঘ) শর বা খাগ এবং লেখন
উত্তরঃ (খ) শর বা খাগ এবং লেখনী

১৩০। ‘ধন্য’ শব্দের আদি অর্থ-
(ক) সৌভাগ্যবান
(খ) প্রশংসনীয়
(গ) কৃতার্থ
(ঘ) ধনবান বা বিত্তশালী
উত্তরঃ (ঘ) ধনবান বা বিত্তশালী

১৩১। ‘ঝি’ শব্দের আদি বা মূল অর্থ কী?
(ক) মেয়ে
(গ) যুবতি
(খ) পরিচারিকা
(ঘ) সুন্দরী
উত্তরঃ (ক) মেয়ে

১৩২। ‘কুমোর’ শব্দের উৎস-
(ক) কুলাল
(খ) কুম্ভীরক
(গ) কুম্ভকার
(ঘ) কুম্ভিলক
উত্তরঃ (গ) কুম্ভকার

আরও পড়ুন : আদরিণী গল্পের MCQ

আরও পড়ুন : পোটরাজ গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর

আরও পড়ুন : তার সঙ্গে কবিতার MCQ প্রশ্ন উত্তর

আরও পড়ুন : ভাষাবিজ্ঞান ও তার শাখাপ্রশাখা MCQ প্রশ্ন উত্তর

আরও পড়ুন : ধ্বনিতত্ত্ব MCQ প্রশ্ন উত্তর

4 thoughts on “শব্দার্থতত্ত্ব MCQ প্রশ্ন উত্তর ক্লাস 12 তৃতীয় সেমিস্টার বাংলা”

  1. বাঙালির চিত্রকলা
    বাংলা চলচ্চিত্রের কথা
    রূপতত্ত্ব
    বাক্য তত্ত্ব
    এই চ্যাপ্টার গুলোর mcq দিলে ভালো হয়।

    Reply

Leave a Comment