নিরপেক্ষ ন্যায়ের বৈধতা বিচার করো Class 11 Philosophy ( Exclusive )

একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার দর্শন বিষয়ে মোট 40 নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। এই 40 নম্বরের মধ্যে নিরপেক্ষ ন্যায় – মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার অধ্যায় থেকে মোট 6 নম্বর আসবে। আজকের এই প্রশ্নোত্তর পর্বে একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিষ্টার দর্শন পরীক্ষার জন্য নিরপেক্ষ ন্যায় – মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার অধ্যায় থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরসহ তুলে ধরা হল।

Table of Contents

নিরপেক্ষ ন্যায়ের বৈধতা বিচার

নিরপেক্ষ ন্যায়ের বৈধতা বিচার করো
নিরপেক্ষ ন্যায়ের বৈধতা বিচার করো

১। সে সুখী হতে পারে না, কেন-না সে অলস।

যুক্তিটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এখানে প্রধান আশ্রয়বাক্যটি অব্যক্ত বা উহ্য আছে। সেটি হল, ‘কোনো অলস ব্যক্তি নয় সুখী’। এই আশ্রয়বাক্যটি যুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে:

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

কোনো অলস ব্যক্তি নয় সুখী ব্যক্তি (E) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

সে হয় অলস ব্যাক্তি (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সে নয় সুখী ব্যক্তি (E) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: কোনো দোষ হয়নি।

প্রথম সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে এখানে হেতুপদ ‘অলস ব্যক্তি’ প্রধান আশ্রয়বাক্য E বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। আবার এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই, যেখানে সাধ্যপদ ‘সুখী ব্যক্তি’ ও পক্ষপদ ‘সে’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে ন্যায় অনুমানটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। তাই যুক্তিটি বৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং EAE একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম CELARENT।

২। কোনো কোনো রাজনীতিবিদ অবশ্যই শিক্ষক, কারণ রাধাকৃষ্ণণ একজন শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ।

যুক্তিটি একটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এখানে অপ্রধান আশ্রয়বাক্যটি ‘রাধাকৃষ্ণন হন রাজনীতিবিদ’ উহ্য আছে। সেই আশ্রয়বাক্যটি সংযুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে-

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

রাধাকৃষ্ণন হন শিক্ষক (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

রাধাকৃষ্ণন হন রাজনীতিবিদ (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য। 

কোনো কোনো রাজনীতিবিদ হন শিক্ষক (I) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: কোনো দোষ হয়নি।

তৃতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে হেতুপদ ‘রাধাকৃষ্ণন’ উভয় আশ্রয়বাক্যে A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই, যেখানে সাধ্যপদ ‘শিক্ষক’ পক্ষপদ ‘রাজনীতিবিদ’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে ন্যায় অনুমানের কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, এটি তৃতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAI একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম DARAPTI ।

৩। দৃষ্টিবাদী হলেই বস্তুবাদী হবে। বার্কলে দৃষ্টিবাদী। সুতরাং তিনি বস্তুবাদী।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল দৃষ্টিবাদী হয় বস্তুবাদী (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।  

বার্কলে হন দৃষ্টিবাদী (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

বার্কলে হন বস্তুবাদী (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: কোনো দোষ হয়নি।

প্রথম সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, এখানে হেতুপদ ‘দৃষ্টিবাদী’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে, কারণ A বচনে উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘বাস্তুবাদী’ ও পক্ষপদ ‘বার্কলে’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি শুদ্ধ মূর্তি, যার নাম BARBARA ।

৪। মরুভূমির মানুষেরা পরিশ্রমী এবং যারা পরিশ্রমী তারা সফল হয়।

যুক্তিটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এখানে সিদ্ধান্ত বাক্যটি উহ্য আছে। সেটি হল ‘সকল মরুভূমির মানুষ হয় সফল’। এই বাক্যটি যুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে:

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল পরিশ্রমী মানুষ হয় সফল (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সকল মরুভূমির মানুষ হয় পরিশ্রমী (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল মরুভূমির মানুষ হয় সফল (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: কোনো দোষ হয়নি।

প্রথম সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, এক্ষেত্রে হেতুপদ ‘পরিশ্রমী মানুষ’ প্রধান আশ্রয়বাক্যে A বচনের উদ্দেশ্যে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই, যেখানে সাধ্যপদ ‘সফল’ ও পক্ষপদ ‘মরুভূমির মানুষ’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি শুদ্ধ মূর্তি, যার নাম BARBARA।

বি.দ্রঃ- তবে এক্ষেত্রে প্রধান আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয়কে স্থানপরিবর্তন (সকল সফল ব্যক্তি হয় পরিশ্রমী) করেও ন্যায়টি গঠন করা যেতে পারে।

৫। কোনো কিছু একসঙ্গে বিষাক্ত ও নিরাপদ নয়। সাপ নিরাপদ নয়, যেহেতু সাপ বিষাক্ত।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

কোনো বিষাক্ত প্রাণী নয় নিরাপদ (E) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল সাপ হয় বিষাক্ত প্রাণী (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

কোনো সাপ নয় নিরাপদ (E) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: কোনো দোষ হয়নি।

প্রথম সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, এখানে হেতুপদ ‘বিষাক্ত প্রাণী’ প্রধান আশ্রয়বাক্যের E বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘নিরাপদ’ ও পক্ষপদ ‘সাপ’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং EAE একটি শুদ্ধ মূর্তি, যার নাম CELARENT ।

৬। সে শিক্ষক নয়। যেহেতু কেবলমাত্র পন্ডিত ব্যক্তিরা শিক্ষক এবং সে পন্ডিত ব্যক্তি নয়।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল শিক্ষক হয় পণ্ডিত ব্যক্তি (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

সে নয় পণ্ডিত ব্যক্তি (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সে নয় শিক্ষক (E) – সিদ্ধান্ত।

দ্বিতীয় সংস্থান

দোষ: কোনো দোষ হয়নি।

বিচার : যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, এখানে হেতুপদ ‘পণ্ডিত ব্যক্তি’ অপ্রধান আশ্রয়বাক্য E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘শিক্ষক’ ও পক্ষপদ ‘সে’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি শুদ্ধ মূর্তি, যার নাম CAMESTRES।

৭। এই প্রশ্নটি কঠিন, কাজেই এই প্রশ্নের উত্তর দানকারী যে-কোনো ছাত্র বুদ্ধিমান।

যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এক্ষেত্রে প্রধান আশ্রয়বাক্য উহ্য আছে। সেই আশ্রয়বাক্যটি হল – ‘সকল কঠিন প্রশ্ন হয় এমন যার উত্তরদানকারী ছাত্র বুদ্ধিমান’। এই আশ্রয়বাক্যটি যুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে-

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

কঠিন প্রশ্ন হয় এমন যার উত্তরদানকারী ছাত্র বুদ্ধিমান (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

এই প্রশ্নটি হয় কঠিন প্রশ্ন (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

এই প্রশ্নটি হয় এমন যার উত্তরদানকারী ছাত্র বুদ্ধিমান (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: কোনো দোষ হয়নি।

প্রথম সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, এখানে হেতুপদ ‘কঠিন প্রশ্ন’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, এ বচনে উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘যার উত্তরদানকারী ছাত্র বুদ্ধিমান’ ও পক্ষপদ ‘এই প্রশ্নটি’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি শুদ্ধ মূর্তি, যার নাম BARBARA ।

৮। সব সফল ব্যক্তি পরিশ্রমী সুতরাং সব ছাত্র সফল নয় যেহেতু সব ছাত্র পরিশ্রমী নয়।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল সফল ব্যক্তি হয় পরিশ্রমী (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

কোনো কোনো ছাত্র নয় পরিশ্রমী (O) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

কোনো কোনো ছাত্র নয় সফল ব্যক্তি (O) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: কোনো দোষ হয়নি।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে হেতুপদ ‘পরিশ্রমী’ একবার ব্যাপ্য হয়েছে। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘সফল ব্যক্তি’ ও পক্ষপদ ‘ছাত্র’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে ন্যায় অনুমানের কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। তাই যুক্তিটি বৈধ। সুতরাং যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AOO একটি শুদ্ধ মূর্তি, যার নাম BAROCO ।

৯। তিনি মাষ্টারমশাই নন, যেহেতু কেবলমাত্র পন্ডিত ব্যক্তিরাই মাষ্টারমশাই এবং তিনি পন্ডিত নন।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল মাষ্টারমশাই হন পন্ডিত (A)- প্রধান আশ্রয়বাক্য।  

তিনি নন পণ্ডিত (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

তিনি নন মাষ্টারমশাই (E) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: কোনো দোষ হয়নি।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে হেতুপদ ‘পণ্ডিত’ প্রধান আশ্রয়বাক্য এ বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কিন্তু অপ্রধান আশ্রয়বাক্য E বচন হওয়ায় ব্যাপ্য হয়েছে। এ ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘মাষ্টারমশাই’ ও পক্ষপদ ‘তিনি’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি শুদ্ধ মূর্তি, যার নাম-CAMESTRES।

১০। সে কাপুরুষ, কেন-না মিথ্যাবাদী এবং মিথ্যাবাদীরা সর্বদাই কাপুরুষ।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল মিথ্যাবাদী হয় কাপুরুষ (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

সে হয় মিথ্যাবাদী (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সে হয় কাপুরুষ (A) সিদ্ধান্ত।

প্রথম সংস্থান

দোষ: কোনো দোষ হয়নি।

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, এখানে হেতুপদ ‘মিথ্যাবাদী’ প্রধান আশ্রয়বাক্যের A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘কাপুরুষ’ ও পক্ষপদ ‘সে’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি শুদ্ধ মূর্তি, যার নাম BARBARA ।

১১। রাজনীতিবিদগণ মানুষ। সুতরাং তারা অবশ্যই মরণশীল। কারণ মানুষ মাত্রই মরণশীল।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল মানুষ হয় মরণশীল (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল রাজনীতিবিদ হয় মানুষ (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল রাজনীতিবিদ হয় মরণশীল (A) – সিদ্ধান্ত।

প্রথম সংস্থান

দোষ: কোনো দোষ হয়নি।

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে হেতুপদ ‘মানুষ’ প্রধান আশ্রয়বাক্যের A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, এ বচনে উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘মরণশীল’ ও পক্ষপদ ‘রাজনীতিবিদ’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি শুদ্ধ মূর্তি, যার নাম BARBARA |

১২। কেবলমাত্র জ্ঞানীরাই দার্শনিক, সব মানুষ জ্ঞানী নয়, অতএব সব মানুষ দার্শনিক নয়।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল দার্শনিক হয় জ্ঞানী ব্যক্তি (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।  

কোনো কোনো মানুষ নয় জ্ঞানী ব্যক্তি (O) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

কোনো কোনো মানুষ নয়। মানুষ দার্শনিক (O) – সিদ্ধান্ত।

দ্বিতীয় সংস্থান

দোষ : কোনো দোষ হয়নি।

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে হেতুপদ ‘জ্ঞানী ব্যক্তি’ একবার ব্যাপ্য হয়েছে। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘দার্শনিক’ ও পক্ষপদ ‘মানুষ’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে ন্যায় অনুমানে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AOO একটি শুদ্ধ মূর্তি, যার নাম BAROCO ।

১৩। উদার ব্যক্তিরা ধার্মিক হয়ে থাকেন এবং দার্শনিকরা উদার। সুতরাং তারা ধার্মিক।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল উদার ব্যক্তি হয় ধার্মিক (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।  

সকল দার্শনিক হয় উদার ব্যক্তি (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।  

সকল দার্শনিক হয় ধার্মিক (A) – সিদ্ধান্ত।

প্রথম সংস্থান

দোষ: কোনো দোষ হয়নি।

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে হেতুপদ ‘উদার ব্যক্তি’ প্রধান আশ্রয়বাক্যের A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, এ বচনে উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘ধার্মিক’ ও পক্ষপদ ‘দার্শনিক’ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি শুদ্ধ মূর্তি, যার নাম BARBARA।

১৪। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কেমন করে তুমি উত্তীর্ণ হবে। উত্তীর্ণ হতে পারে।। ? কেন-না তুমি পরিশ্রমী নও এবং কেবল পরিশ্রমী ব্যক্তিরাই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল এমন ব্যক্তি যারা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে হয় পরিশ্রমী (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

তুমি নও পরিশ্রমী (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

তুমি নও এমন ব্যক্তি যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে (E) – সিদ্ধান্ত।

দ্বিতীয় সংস্থান

দোষ: কোনো দোষ হয়নি।

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, এখানে হেতুপদ ‘পরিশ্রমী’ অপ্রধান আশ্রয়বাক্যের E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে’ ও পক্ষপদ তুমি’ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের এবং AEE একটি শুদ্ধ মূর্তি, যার নাম CAMESTRES ।

১৫। সাম্যবাদীরা কখনোই সুখী হতে পারে না। কেন-না তারা ধার্মিক নয় এবং একমাত্র ধার্মিকরাই সুখী।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল সুখী ব্যক্তি হয় ধার্মিক (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

কোনো সাম্যবাদী নয় ধার্মিক (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

কোনো সাম্যবাদী নয় সুখী ব্যক্তি (E) – সিদ্ধান্ত।

দ্বিতীয় সংস্থান

দোষ: কোনো দোষ হয়নি।

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, এখানে হেতুপদ ‘ধার্মিক’ অপ্রধান আশ্রয়বাক্যের E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘সুখী ব্যক্তি’ ও পক্ষপদ ‘সাম্যবাদী’ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের এবং AEE একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম CAMESTRES ।

১৬। একমাত্র জাতীয়তাবাদীরাই সুনাগরিক এবং একমাত্র সুনাগরিকরাই সৈনিক। কাজেই কেবল জাতীয়তাবাদীরাই সৈনিক।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল সুনাগরিক হয় জাতীয়তাবাদী (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল সৈনিক হয় সুনাগরিক (A) অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল সৈনিক হয় জাতীয়তাবাদী (A) – সিদ্ধান্ত।

প্রথম সংস্থান

দোষ: কোনো দোষ হয়নি।

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, এখানে হেতুপদ ‘সুনাগরিক’ প্রধান আশ্রয়বাক্যের A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘জাতীয়তাবাদী’ ও পক্ষপদ ‘সৈনিক’ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি শুদ্ধ মূর্তি। এর

নাম BARBARA ।

আরও পড়ুনLink
বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা পর্ব ১Click Here
বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা পর্ব ২Click Here
বৃদ্ধি ও বিকাশের অর্থ প্রশ্ন উত্তরClick Here
নিরপেক্ষ ন্যায় – মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচারClick Here
নৈতিক প্রত্যয়সমূহ প্রশ্ন উত্তরClick here

Leave a Comment