বিশ্বায়নের সাংস্কৃতিক প্রভাব লেখো

বিশ্বায়নের সাংস্কৃতিক প্রভাব লেখো

বিশ্বায়নের সাংস্কৃতিক প্রভাব লেখো
বিশ্বায়নের সাংস্কৃতিক প্রভাব লেখো

বিশ্বজুড়ে সংস্কৃতির বাণিজ্যিকীকরণ ঘটেছে। সাংস্কৃতিক দিক থেকে বিশ্বায়নের মূল লক্ষ্য হল সারা বিশ্বজুড়ে এক ধরনের সমজাতীয় সংস্কৃতি (Homogeneous Cultural) গড়ে তোলা। বিশ্বায়ন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বহুমুখী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসমূহকে এক ছাঁচে ঢেলে যে সমজাতীয় সংস্কৃতি নির্মাণ করতে চায় তাকে অনেকে মার্কিনি ম্যাকডোনাল্ড সংস্কৃতি বলে আখ্যা দিয়েছেন। বলা হয়, এই নতুন সংস্কৃতির প্রত্যয়ে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য একেবারে বিপন্ন। সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিশ্বায়নের প্রভাব সর্বদাই যে নেতিবাচক তা নয়। দেখা গেছে বিশ্বায়ন বিশ্বের বিভিন্ন সমাজে একইসঙ্গে সাংস্কৃতিক সমসত্ত্বতা (homogeneity) এবং বৈচিত্র্যের বাতাবরণ গড়ে তুলেছে। বিশ্বব্যাপী আন্তঃসম্পর্কের জালিকা রচনার মধ্য দিয়ে বিশ্বায়ন সাংস্কৃতিক আধিপত্যবাদের প্রবণতাকে সামনে নিয়ে এসেছে। বিশ্বায়নের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ফলাফলগুলি হল নিম্নরূপ।

ইতিবাচক প্রভাব

সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ : বিশ্বায়ন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে। বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি সামাজিক মাধ্যমের সাহায্যে বিশ্বের মানুষ ‘অপর’ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের প্রতীকচিহ্ন সংস্কৃতির মূল্যবোধ, ঐতিহ্য ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারছে এবং অন্য দেশের সামাজিক ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারছে। যেমন-গাজায় ইজরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত গড়ে উঠেছে। এই অনুভূতি বর্তমানে বৈশ্বিক নাগরিকতা (Global citizenship)-র ধারণাকে সমর্থন করে।

দেশীয় অর্থনীতির বিকাশ: সাংস্কৃতিক বিশ্বায়নের ফলে বিভিন্ন দেশের স্থানীয় সংস্কৃতিকে জানা ও বোঝার জন্য বৈশ্বিক পর্যটকদের মধ্যে আগ্রহ বা কৌতূহল দেখা দিয়েছে। তার ফলে সাংস্কৃতিক ভ্রমণ, স্থানীয় শিল্পীদের তৈরি হস্তশিল্পের সামগ্রীর আন্তর্জাতিক বিপণন ইত্যাদির ফলে দেশীয় অর্থনীতির বিকাশ ঘটে।

সৃজনশীলতার ডিজিটাল রূপান্তর: বিশ্বায়ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং স্ট্রিমিং পরিসেবার মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের সৃজনশীলতাকে ডিজিটালাইজড্ করে তাকে সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে সহজলভ্য করে পৌঁছে দিচ্ছে। ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, স্পটিফায়ের মতো প্ল্যাটফর্মগুলির ব্যবহারকারীদের কাছে খুব সহজেই বিভিন্ন ধরনের সিনেমা, সঙ্গীত, টিভি শো, সাক্ষাৎকার ইত্যাদি বিনোদনমূলক পরিসেবা সহজলভ্য হয়ে উঠেছে ফলে বিশ্বব্যাপী মানুষ এগুলি উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে।

জনমত গঠন: বিশ্বায়ন সামাজিক মাধ্যমসমূহের অবাধ সক্রিয়তার পরিসর তৈরি করেছে এবং এর ফলে বিশ্বব্যাপী জনগোষ্ঠীসমূহের মধ্যে আন্তঃসংযোগের সৃষ্টি হয়েছে। কোনো একটি দেশের সামাজিক ইস্যু (Social issue) যেমন-ইথিওপিয়ায় দুর্ভিক্ষ, দক্ষিণ সুদানে গৃহযুদ্ধ, গাজা স্ট্রিপে গণহত্যা (Ethnic Cleansing) ইত্যাদি আন্তর্জাতিক উৎকণ্ঠার বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। এগুলি সম্পর্কে জনমত গড়ে তোলা এখন অনেক সহজ হয়েছে।

সাংস্কৃতিক উৎসব উদ্যাপনের বিশ্বব্যাপী পরিচিতি : বিশ্বায়নের ফলে সাংস্কৃতিক উৎসব উদ্যাপনের বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভের সুযোগ ঘটেছে। যেমন-আমাদের দেশের দীপাবলি, দুর্গাপূজার কার্নিভাল উৎসব বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের কাছে সমাদৃত হয়েছে। আবার পশ্চিমি বিভিন্ন উৎসব যেমন-বড়দিন, ভ্যালেন্টাইনস্ ডে, হ্যালোউইন বিশ্বব্যাপী উদ্যাপন করা হচ্ছে।

ভাষা সংরক্ষণের প্রচেষ্টা: বিশ্বায়ন ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভাষা সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে। বিপন্ন ভাষাগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা এবং ভাষা সংরক্ষণের জন্য গৃহীত উদ্যোগগুলিকে বিশ্বায়নের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভাষাগুলি বিশ্বব্যাপী ঐতিহ্য বজায় রাখতে পারে।

পোশাকের ক্ষেত্রে সহজলভ্যতা: বিশ্বায়নের প্রভাব পোশাক পরিচ্ছদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়। এর ফলে বিভিন্ন দেশের পোশাক পরিচ্ছদ সহজলভ্য হওয়ায় তা সহজেই মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষত পশ্চিমি পোশাকের জনপ্রিয়তা বিশ্ব বাজারে তুঙ্গে।

বহুসংস্কৃতিবাদ: বিশ্বায়ন তথাকথিত ‘অপর’ (other) সংস্কৃতির সঙ্গে আদানপ্রদানের দ্বার উন্মুক্ত করার ফলে বিশ্বের মানুষ অন্য দেশের মূল্যবোধ, ধারণা, জীবনচর্চা, ইত্যাদি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার ফলে বর্তমানে সব দেশেই বহুসংস্কৃতিবাদ (Multiculturalism) গড়ে উঠেছে। উদাহরণ হিসেবে বিদেশি পোশাক-পরিচ্ছদের জনপ্রিয়তা, ইংরেজি ভাষার প্রাধান্য-সহ খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী ম্যাকডোনাল্ড কিংবা কেএফসি, ডমিনো’স, পিৎজা হাট-এর অনুপ্রবেশের কথা বলা যায়।

নেতিবাচক প্রভাব

জাতীয় সংস্কৃতির বিলুপ্তি: বিশ্বায়ন সারা পৃথিবী জুড়ে যে একই ধরনের ভোগবাদী পণ্যসংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাইছে তার ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলির বৈচিত্র্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবক্ষয় দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে বৈচিত্র্যপূর্ণ আঞ্চলিক জাতীয় সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য ক্ষুণ্ণ হতে বসেছে। ফলে বর্তমানে সব দেশেই জাতীয় সংস্কৃতি ক্রমশ বিলুপ্ত হতে বসেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে নিজস্ব সংস্কৃতির পরিবর্তে কোরিয়ান সঙ্গীত (K-Pop)-এর ব্যান্ড BTS এবং কোরিয়ান ড্রামা (K-Drama)-এর জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া হলিউডের গান, চলচ্চিত্র বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তার করেছে।

ভাষাগত প্রভাব: সাংস্কৃতিক বিশ্বায়ন ভাষার উপরেও প্রভাব ফেলেছে। আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজির বিস্তার যেভাবে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে তার ফলে আঞ্চলিক ভাষাগুলি শুধু অবহেলিত হয়েছে তাই নয় তাদের মধ্যে অবক্ষয়ও শুরু হয়েছে। এশিয়া, আফ্রিকার মতো স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষ তাদের নিজেদের ভাষাগত স্বাতন্ত্র্যকে ভুলতে বসেছে।

খাদ্যের রুচি বদল: বিশ্বায়ন খাদ্য সংক্রান্ত MNC গুলির প্রবেশকে সহজ করে তোলে। যার ফলে বিশ্বব্যাপী জনগণের কাছে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সহজলভ্য হয়ে উঠেছে বিশেষত বিদেশি খাদ্য। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে দেশীয় খাদ্যের পরিবর্তে পিৎজা, বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস ইত্যাদি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রে পরিবর্তন: বিশ্বায়নের ফলে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে পশ্চিমি ধাঁচের পোশাক সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। বিদেশ থেকে পোশাক-পরিচ্ছদ আমদানির ফলে সেগুলি জনগণের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যার ফলে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক-পরিচ্ছদের ব্যবহার হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বায়নের হাত ধরে সমগ্র বিশ্বে জিন্স, টি-শার্ট ইত্যাদি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

পশ্চিমি সংস্কৃতির প্রসার: উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের ফলে যে বিশ্বজনীন সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে তা নিয়ে দ্বিমত নেই। তবে উন্নয়নের নাম করে মূলত বাণিজ্যিক স্বার্থে পশ্চিমি দেশগুলি ভোগবাদী সংস্কৃতি উন্নয়নশীল দেশগুলির উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। টিভি, সিনেমা, সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে হিংসা, পশ্চিমি সংস্কৃতির ছোঁয়া, অনলাইন গেমস্ এবং নারী সৌন্দর্যের পণ্যায়ন ও বিজ্ঞাপন কিশোর-কিশোরীদের হৃদয়ে বিকৃত মানসিকতার জন্ম দিচ্ছে এবং তাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত করে বিপথে চালিত করছে। এর ফলস্বরূপ জাতীয় চেতনা, সুস্থ চিন্তার বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।

নারী সমাজের বিপন্নতা: বিশ্বায়নের ফলে মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই তবে তাদের প্রকৃত অর্থে ক্ষমতায়ন ঘটেনি। এমনকি পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদী দেশের মহিলারাও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক দিক থেকে সার্বিকভাবে অগ্রসর হয়নি, তাই তারা বিভিন্ন সময় নারী আন্দোলনে শামিল হয়েছে। বিজ্ঞাপন জগতে, বিমান, হোটেল, সোশ্যাল মিডিয়া, ফ্যাশন প্রভৃতি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান তৈরি হলেও এই ক্ষেত্রগুলি নারী সৌন্দর্যকে একপ্রকার পণ্যায়নে পরিণত করেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের মর্যাদাহানিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অভাবের তাড়নায় নারীরা বিভিন্ন প্রলোভনের শিকার হচ্ছে। তারা নানান অমর্যাদাকর পেশায় নিযুক্ত হয়ে পড়ছে। তাই নারী পাচার, নারী নির্যাতন, শিশু পাচারের মতো ঘটনা এই বিশ্বায়নের যুগেও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা কর্তৃক নিযুক্ত মহিলা শ্রমিকরাও অস্থায়ীভাবে এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে কাজ করছে। শ্রম আইন না মানার ফলে বিভিন্ন শিল্প অফিসগুলি দ্বারা মহিলা কর্মচারীরা শোষণ ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।

ভোগবাদী চিন্তার প্রসার: আবার অনেকের মতে বিশ্বায়নের প্রভাবে সাংস্কৃতিক আধিপত্যবাদের পরিসর সৃষ্টি হয়েছে। দেখা গেছে যে পাশ্চাত্যের ধনতান্ত্রিক ভোগবাদী সংস্কৃতি তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির পরম্পরাগত মূল্যবোধকে দমন করে আধিপত্য বিস্তার করেছে। এর ফলে মানুষের জীবন স্বার্থপরতা ও ব্যক্তিগত পরিসরে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। বিদেশি ধাঁচের নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি গঠনের প্রবণতা গড়ে উঠেছে। ব্যক্তিগত জীবন ব্যতীত মানুষ বর্তমান সমাজের দুর্দশা, সামাজিক অবক্ষয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাজনীতি, সংস্কৃতি বিষয়গুলি নিয়ে ভাবতে নারাজ।

ব্রেন ড্রেন: ধনতান্ত্রিক দেশগুলি বিভিন্ন সময়ে বিদেশে পড়া, চাকরি করা ও বিলাসবহুল জীবনযাপনের আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন ও প্রচার করে থাকে। সুখী জীবনের সন্ধানে পাশ্চাত্যে চলে যাওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে বিশেষত মেধাবীরা তৃতীয় বিশ্ব থেকে পাশ্চাত্যের দেশে পাড়ি দিচ্ছে। ফলস্বরূপ বিপুল পরিমাণে ব্রেন ড্রেন হচ্ছে। যার ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে সঠিক মানের শিক্ষিত, জ্ঞানী, দক্ষ জনগণ থাকছে না। এভাবে ধনতান্ত্রিক সংস্কৃতির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে আজ অসম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যা ভবিষ্যতের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের প্রশ্ন তোলে।

উপসংহার: বস্তুত বিশ্বায়ন জাতীয় মূল্যবোধ ও জাতীয় চরিত্রের সাবেকি ধারণাকে পরিবর্তিত করেছে। বর্তমানে একদিকে যেমন বৈশ্বিক নাগরিক সমাজের ধারণা গড়ে উঠেছে, তেমনই জাতীয় সীমানা অতিক্রম করে বিশ্বনাগরিকতার ধারণা জনপ্রিয় হয়েছে। তবে সবকিছু সত্ত্বেও বলা যায় বিশ্বায়ন নাগরিক পরিচিতিতে পরিবর্তন আনলেও এর মৌলিক রাষ্ট্রকেন্দ্রিক বৈশিষ্ট্যে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। অধ্যাপক কে এম পানিক্কর-এর মতে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে বর্তমানে যে সাংস্কৃতিক আক্রমণ চলেছে সেটি আসলে সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠার একটি প্রচেষ্টা।

আরো পড়ুন : একাদশ শ্রেণি বাংলা প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment