দর্শন শব্দের অর্থ MCQ প্রশ্ন উত্তর ক্লাস 11 প্রথম সেমিস্টার | Darshana Shobder Ortho MCQ Class 11

দর্শন শব্দের অর্থ MCQ প্রশ্ন উত্তর ক্লাস 11 প্রথম সেমিস্টার | Darshana Shobder Ortho MCQ | Class 11 Philosophy MCQ 1st Chapter Semester 1st

দর্শন শব্দের অর্থ MCQ প্রশ্ন উত্তর
দর্শন শব্দের অর্থ MCQ প্রশ্ন উত্তর

১. ‘দর্শন’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে সংস্কৃত কোন্ ধাতু থেকে?
(ক) দশ্
(খ) দৃশ
(গ) দৃ
(ঘ) শ
উত্তরঃ (খ) দৃশ

২. ‘দর্শন’ শব্দটি এসেছে যে দুটি শব্দ যোগ করে-
(ক) দৃশ + অনট্
(খ) দৃশ্ + টনট
(গ) দৃশ + সনট
(ঘ) দশ্ + নট
উত্তরঃ (ক) দৃশ + অনট্

৩. ‘দৃশ’ ধাতুর বাংলা অর্থ হল-
(ক) করা
(খ) পড়া
(গ) জ্ঞান
(ঘ) দেখা
উত্তরঃ (ঘ) দেখা

৪. ‘দর্শন’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল-
(ক) জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ
(খ) অনুরাগ
(গ) দেখা বা প্রত্যক্ষ করা
(ঘ) Philosophy
উত্তরঃ (গ) দেখা বা প্রত্যক্ষ করা

৫. ‘দর্শন’ শব্দের অর্থ হল-
(ক) দেখা
(খ) সত্যদর্শন
(গ) অনুরাগ
(ঘ) অনুভব
উত্তরঃ (খ) সত্যদর্শন

৬. ‘দর্শন’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল-
(ক) চোখ দিয়ে দেখা
(খ) অন্তর্দর্শন বা সত্যকে দেখা
(গ) লক্ষ করা
(ঘ) আবেগ
উত্তরঃ (ক) চোখ দিয়ে দেখা

৭. দর্শনের আলোচ্য বিষয় হল-
(ক) বাহ্যজগৎ
(খ) অভ্যন্তরীণ জগৎ
(গ) জগৎ ও জীবনকে যথার্থভাবে উপলব্ধি করা
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (গ) জগৎ ও জীবনকে যথার্থভাবে উপলব্ধি করা

৮. দার্শনিক হলেন যিনি-
(ক) জ্ঞানী
(খ) পণ্ডিতব্যক্তি
(গ) গুরুজন
(ঘ) সত্যদ্রষ্টা বা তত্ত্বজ্ঞানী
উত্তরঃ (ঘ) সত্যদ্রষ্টা বা তত্ত্বজ্ঞানী

৯. দার্শনিকগণ-
(ক) নিরন্তর সত্যের অনুসন্ধান করেন
(খ) তথ্যের অনুসন্ধান করেন
(গ) পুজার্চনা করেন
(ঘ) জ্ঞান অর্জন করেন
উত্তরঃ (ক) নিরন্তর সত্যের অনুসন্ধান করেন

১০. ভারতীয় দার্শনিক সত্যকে নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠা করেন-
(ক) ইন্দ্রিয় সংযমের মাধ্যমে
(খ) চিত্তশুদ্ধির মাধ্যমে
(গ) নৈতিক কঠোর অনুশাসনের মাধ্যমে
(ঘ) সবকটি ঠিক
উত্তরঃ (ঘ) সবকটি ঠিক

১১. দর্শন জিজ্ঞাসা হল-
(ক) মানুষের অস্বাভাবিক ধর্ম
(খ) মানুষের স্বভাবধর্ম
(গ) সকল প্রাণীর স্বাভাবিক ধর্ম
(ঘ) সকল প্রাণীর অস্বাভাবিক ধর্ম
উত্তরঃ (খ) মানুষের স্বভাবধর্ম

১২. “দর্শন হল আধ্যাত্মিক উপলব্ধি”। এ কথা বলেছেন-
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন
(গ) স্বামী বিবেকানন্দ
(ঘ) মধ্বাচার্য
উত্তরঃ (খ) ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন

১৩. ভারতীয় মতে দর্শন বলতে বোঝায়-
(ক) সত্যদর্শন
(খ) মিথ্যাদর্শন
(গ) পরোক্ষ দর্শন
(ঘ) অপরোক্ষ দর্শন
উত্তরঃ (ক) সত্যদর্শন

১৪. সাধারণ বা লৌকিক মতে দর্শন বলতে বোঝায়-
(ক) ইন্দ্রিয় প্রত্যক্ষ বা দেখাকে
(খ) শোনাকে
(গ) কাজ করাকে
(ঘ) মোক্ষ লাভ করাকে
উত্তরঃ (ক) ইন্দ্রিয় প্রত্যক্ষ বা দেখাকে

১৫. ভারতীয় ‘দর্শন’ এবং পাশ্চাত্য ‘Philosophy’ — এই শব্দ দুটি-
(ক) সমার্থবোধক
(খ) সমার্থবোধক নয়
(গ) দৃষ্টিভঙ্গিগত সাদৃশ্য রয়েছে
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (খ) সমার্থবোধক নয়

১৬. ‘Philosophy’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল-
(ক) অনুরাগ
(খ) জ্ঞান
(গ) জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ
(ঘ) সত্য
উত্তরঃ (গ) জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ

১৭. দর্শনের প্রকৃত অর্থ-
(ক) দেখা
(খ) পরমসত্যকে দেখা বা উপলব্ধি করা
(গ) শোনা
(ঘ) কাজ করা
উত্তরঃ (খ) পরমসত্যকে দেখা বা উপলব্ধি করা

১৮. ‘Philosophy’ এবং ‘দর্শন’ শব্দের—
(ক) উৎস এক
(খ) উৎস এক নয়
(গ) অর্থ এক
(ঘ) উৎসগত মিল রয়েছে
উত্তরঃ (খ) উৎস এক নয়

১৯. ভারতীয় দর্শনের উদ্দেশ্য হল-
(ক) সত্য
(খ) তত্ত্ব
(গ) সত্য বা তত্ত্বোপলব্ধি
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (গ) সত্য বা তত্ত্বোপলব্ধি

২০. ভারতীয় দর্শনে তত্ত্ব উপলব্ধি হল—
(ক) বিশ্বজগতের যথার্থ রূপকে
(খ) জ্ঞানকে
(গ) অনুসন্ধান করাকে
(ঘ) তথ্যকে
উত্তরঃ (ক) বিশ্বজগতের যথার্থ রূপকে

২১. দর্শনে তত্ত্ব বলতে বোঝায়—
(ক) বিষয়কে বোঝা
(খ) বিষয়কে খোঁজা
(গ) আধ্যাত্মিক উপলব্ধি
(ঘ) বিষয়কে দেখা
উত্তরঃ (গ) আধ্যাত্মিক উপলব্ধি

২২. ভারতীয় দর্শনের আদর্শ হল—
(ক) সত্যের আদর্শ
(খ) পরমাত্মার আদর্শ
(গ) সত্যম শিবম সুন্দরম এর আদর্শ
(ঘ) ঈশ্বর লাভ ও মুক্তির আদর্শ
উত্তরঃ (গ) সত্যম শিবম সুন্দরম এর আদর্শ

২৩. ভারতীয় মতে ‘দর্শন’ বলতে বোঝানো হয়—
(ক) তত্ত্বদর্শনকে
(খ) তত্ত্বদর্শনের উপায়কে
(গ) (ক) ও (খ) উভয়ই
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (গ) (ক) ও (খ) উভয়ই

২৪. ‘তত্ত্বদর্শন’ বলতে বোঝায়—
(ক) বাহ্যবস্তুর জ্ঞানকে
(খ) সত্যের উপলব্ধিকে
(গ) অতীন্দ্রিয় সত্তার জ্ঞানকে
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (খ) সত্যের উপলব্ধিকে

২৫. ভারতীয় দর্শন কী?
(ক) সত্যকে দেখা
(খ) সত্যকে জীবনে প্রতিষ্ঠা করা
(গ) বিচারের সঙ্গে আচারকে সমন্বয় করা
(ঘ) সবকটি ঠিক
উত্তরঃ (ঘ) সবকটি ঠিক

২৬. দর্শনের উৎপত্তি হয়—
(ক) কৌতূহল থেকে
(খ) ক্ষিদে থেকে
(গ) আবেগ থেকে
(ঘ) অনুরাগ থেকে
উত্তরঃ (ক) কৌতূহল থেকে

২৭. ভারতীয় দর্শনের উৎপত্তি হয়েছে—
(ক) পারমার্থিক জ্ঞান থেকে
(খ) বুদ্ধি থেকে
(গ) ব্যাবহারিক প্রয়োজনবোধ থেকে
(ঘ) রাজনৈতিক প্রয়োজনবোধ থেকে
উত্তরঃ (গ) ব্যাবহারিক প্রয়োজনবোধ থেকে

২৮. ভারতীয় ‘হিন্দু’ শব্দের উদ্ভব হয়েছে কোন্ শব্দ থেকে?
(ক) সিন্ধু
(খ) হিন্দু
(গ) আর্য
(ঘ) অনার্য
উত্তরঃ (ক) সিন্ধু

২৯. ভারতীয় দর্শন ও হিন্দু দর্শন সমার্থক। এ কথা—
(ক) সত্য
(খ) মিথ্যা
(গ) (ক) ও (খ) উভয়ই
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (খ) মিথ্যা

৩০. ভারতীয় দর্শনকে ‘হিন্দু দর্শন’ বলা যেতে পারে-
(ক) সামাজিক অর্থে
(খ) ধর্ম সম্প্রদায় অর্থে
(গ) রাজনৈতিক অর্থে
(ঘ) ভৌগোলিক অর্থে
উত্তরঃ (ঘ) ভৌগোলিক অর্থে

৩১. ভারতীয় দর্শনকে বলে-
(ক) আর্য দর্শন
(খ) হিন্দু দর্শন
(গ) অহিন্দু দর্শন
(ঘ) ভারতের অধিবাসীদের দর্শন
উত্তরঃ (ঘ) ভারতের অধিবাসীদের দর্শন

৩২. ভারতীয় দর্শনকে ভৌগোলিক অর্থে বলা যায়-
(ক) আস্তিক দর্শন
(খ) নাস্তিক দর্শন
(গ) হিন্দু দর্শন
(ঘ) অহিন্দু দর্শন
উত্তরঃ (গ) হিন্দু দর্শন

৩৩. ভারতীয় দর্শনে সত্যের যে দিকের উপর জোর দেওয়া হয় তা হল-
(ক) অনুসন্ধান
(খ) ব্যাবহারিক উপলব্ধি
(গ) (ক) ও (খ) উভয়ই
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (খ) ব্যাবহারিক উপলব্ধি

৩৪. কোন্ দার্শনিক ভারতীয় দর্শন বলতে, ভারতবর্ষীয় সকল দর্শন সম্প্রদায়কে বুঝিয়েছেন?
(ক) রাধাকৃয়ন
(খ) বিবেকানন্দ
(গ) মাধবাচার্য
(ঘ) মহর্ষি গৌতম
উত্তরঃ (গ) মাধবাচার্য

৩৫. ‘সর্বদর্শনসংগ্রহ’ গ্রন্থটির লেখক-
(ক) শঙ্করাচার্য
(খ) মহর্ষি গৌতম
(গ) মাধবাচার্য
(ঘ) মহর্ষি কণাদ
উত্তরঃ (গ) মাধবাচার্য

৩৬. ‘দর্শন’ শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হল-
(ক) Philos
(খ) Sophia
(গ) Darshan
(ঘ) Philosophy
উত্তরঃ (ঘ) Philosophy

৩৭. ‘Philosophy’ শব্দটি একটি-
(ক) সংস্কৃত শব্দ
(খ) গ্রিক শব্দ
(গ) ইংরেজি শব্দ
(ঘ) ফারসি শব্দ
উত্তরঃ (গ) ইংরেজি শব্দ

৩৮. গ্রিক ‘Philos’ শব্দের অর্থ-
(ক) বিরূপ
(খ) অনুরাগ
(গ) পূর্বরাগ
(ঘ) নবরাগ
উত্তরঃ (খ) অনুরাগ

৩৯. ‘Sophia’ শব্দটির অর্থ-
(ক) তর্ক
(খ) অনুরাগ
(গ) সংশয়
(ঘ) জ্ঞান
উত্তরঃ (ঘ) জ্ঞান

৪০. ফিলসফি-এর অর্থ হল-
(ক) সত্যদর্শন
(খ) সত্য উপলব্ধি
(গ) তত্ত্বদর্শন
(ঘ) জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ
উত্তরঃ (ঘ) জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ

৪১. সক্রেটিস কোন্ অর্থে নিজেকে ‘Philosopher’ বলেছেন?
(ক) জ্ঞানের প্রতি অনুরাগী অর্থে
(খ) জ্ঞানী অর্থে
(গ) সত্যদ্রষ্টা অর্থে
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ক) জ্ঞানের প্রতি অনুরাগী অর্থে

৪২. ‘দর্শন’ শব্দের সংকীর্ণ অর্থ কী?
(ক) দেখা
(খ) শোনা
(গ) বিচার করা
(ঘ) বুদ্ধি
উত্তরঃ (ক) দেখা

৪৩. ‘দর্শন’ শব্দটির ব্যাপক অর্থ হল-
(ক) দেখা
(খ) অনুভব
(গ) সত্য উপলব্ধি
(ঘ) বিচার
উত্তরঃ (গ) সত্য উপলব্ধি

৪৪. ভারতীয় দর্শনের লক্ষ্য হল-
(ক) বিস্ময়কে নিরসন করা
(খ) আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা
(গ) (ক) ও (খ) উভয়ই
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (গ) (ক) ও (খ) উভয়ই

৪৫. পাশ্চাত্য দর্শনের লক্ষ্য হল-
(ক) জ্ঞানতৃষ্ণা নিবৃত্ত করা
(খ) সত্যের প্রতি অনুরাগ
(গ) আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ক) জ্ঞানতৃষ্ণা নিবৃত্ত করা

৪৬. পাশ্চাত্য দর্শনে সত্যের যে দিকের উপর জোর দেওয়া হয় তা হল-
(ক) অনুসন্ধান
(খ) আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা
(গ) (ক) ও (খ) উভয়ই
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ক) অনুসন্ধান

৪৭. ভারতীয় দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি কীরূপ?
(ক) আধ্যাত্মিক
(খ) ব্যাবহারিক
(গ) জ্ঞানতাত্ত্বিক
(ঘ) উদ্দেশ্যমূলক
উত্তরঃ (খ) ব্যাবহারিক

৪৮। পাশ্চাত্য Philosophy-এর উৎপত্তি হয়েছে-
(ক) দুঃখ এবং যন্ত্রণাবোধ থেকে
(খ) ব্যাবহারিক প্রয়োজনবোধ থেকে
(গ) ধর্মবোধ থেকে
(ঘ) বিস্ময়বোধ থেকে
উত্তরঃ (ঘ) বিস্ময়বোধ থেকে

৪৯। আধ্যাত্মিক অশান্তি এবং ব্যাবহারিক প্রয়োজনবোেধ থেকে উৎপত্তি হয়েছে-
(ক) পাশ্চাত্য দর্শন
(খ) ভারতীয় দর্শন
(গ) সামাজিক দর্শন
(ঘ) রাজনৈতিক দর্শন
উত্তরঃ (খ) ভারতীয় দর্শন

৫০। পাশ্চাত্য দর্শনের উদ্দেশ্য-
(ক) তত্ত্বচর্চা
(খ) তত্ত্বের চর্চা ও চর্যা
(গ) ধর্মীয় চর্চা
(ঘ) নৈতিক চর্চা
উত্তরঃ (ক) তত্ত্বচর্চা

৫১। সত্য বা তত্ত্বের চর্চা ও চর্যা কোন্ দর্শনের উদ্দেশ্য?
(ক) পাশ্চাত্য দর্শন
(খ) ধর্মদর্শন
(গ) ভারতীয় দর্শন
(ঘ) নীতিবিদ্যা
উত্তরঃ (গ) ভারতীয় দর্শন

৫২। তত্ত্বের আলোচনাকে বলে-
(ক) চর্চা
(খ) চর্যা
(গ) চর্চা ও চর্যা উভয়ই
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ক) চর্চা

৫৩। ‘চর্চা’ কথার অর্থ হল-
(ক) দেখা
(খ) শোনা
(গ) জানা
(ঘ) করা
উত্তরঃ (গ) জানা

৫৪। ‘চর্যা’ কথার অর্থ হল-
(ক) জ্ঞান
(খ) অনুরাগ
(গ) জানা
(ঘ) করা
উত্তরঃ (ঘ) করা

৫৫। ‘চর্যা’ হল-
(ক) তত্ত্বের আলোচনা
(খ) তত্ত্বলব্ধ জ্ঞানানুসারে জীবন পরিচালনা করা
(গ) সত্যের আলোচনা
(ঘ) বৌদ্ধিক চর্চা
উত্তরঃ (খ) তত্ত্বলব্ধ জ্ঞানানুসারে জীবন পরিচালনা করা

৫৬। পাশ্চাত্য দর্শনচর্চার মূল উদ্দেশ্য-
(ক) বৌদ্ধিক চর্চা
(খ) ধর্মীয় চর্চা
(গ) শারীরিক চর্চা
(ঘ) নৈতিক চর্চা
উত্তরঃ (ক) বৌদ্ধিক চর্চা

৫৭। ভারতীয় দর্শনচর্চার মূল উদ্দেশ্য-
(ক) মানবসত্তার সামগ্রিক উন্নতিসাধন
(খ) বৌদ্ধিক উন্নতি
(গ) আধ্যাত্মিক উন্নতি
(ঘ) শারীরিক উন্নতি
উত্তরঃ (ক) মানবসত্তার সামগ্রিক উন্নতিসাধন

৫৮। ভারতীয় মতে, দর্শন হল-
(ক) চিন্তা ও বুদ্ধির সমন্বয়
(খ) চর্চা ও চর্যার সমন্বয়
(গ) তথ্য ও তত্ত্বের সমন্বয়
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (খ) চর্চা ও চর্যার সমন্বয়

৫৯। ভারতীয় দর্শন এবং পাশ্চাত্য দর্শনের পার্থক্য-
(ক) তত্ত্বের দিক থেকে
(খ) তত্ত্বের প্রয়োগের দিক থেকে
(গ) সত্যতার দিক থেকে
(ঘ) তত্ত্বের প্রকৃতির দিক থেকে
উত্তরঃ (খ) তত্ত্বের প্রয়োগের দিক থেকে

৬০। ধর্মকে দর্শনের আওতায় আনা হয়-
(ক) ভারতীয় দর্শনে
(খ) পাশ্চাত্য দর্শনে
(গ) (ক) ও (খ) উভয়ই
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ক) ভারতীয় দর্শনে

৬১। ধর্ম ও দর্শনের সম্পর্ক স্বীকার করে না-
(ক) ভারতীয় দর্শন
(খ) পাশ্চাত্য দর্শন
(গ) সমাজ দর্শন
(ঘ) রাষ্ট্রদর্শন
উত্তরঃ (খ) পাশ্চাত্য দর্শন

৬২। ভারতীয় দর্শনের মূল লক্ষ্য হল-
(ক) ধর্মলাভে সহায়তা করা
(খ) অর্থলাভে সহায়তা করা
(গ) মোক্ষলাভে সহায়তা করা
(ঘ) সবকটি ঠিক
উত্তরঃ (গ) মোক্ষলাভে সহায়তা করা

৬৩। ভারতীয় দর্শনের প্রধান লক্ষ্য-
(ক) জ্ঞানলাভ
(খ) দুঃখের আত্যন্তিক নিবৃত্তি
(গ) তত্ত্ব আলোচনা
(ঘ) জ্ঞানের প্রতি অনুরাগী হওয়া
উত্তরঃ (খ) দুঃখের আত্যন্তিক নিবৃত্তি

৬৪। ভারতীয় দর্শনের অপর নাম কী?
(ক) ন্যায়শাস্ত্র
(খ) মোক্ষশাস্ত্র
(গ) ধর্মশাস্ত্র
(ঘ) বিচারশাস্ত্র
উত্তরঃ (খ) মোক্ষশাস্ত্র

৬৫। দুঃখ নিবৃত্তির উপায় অনুসন্ধান করেন-
(ক) পণ্ডিতরা
(খ) পাশ্চাত্য দার্শনিকরা
(গ) ভারতীয় দার্শনিকরা
(ঘ) বিজ্ঞানীরা
উত্তরঃ (গ) ভারতীয় দার্শনিকরা

৬৬। ভারতীয় দর্শনচিন্তার লক্ষ্য-
(ক) ত্রিবিধ দুঃখের আত্যন্তিক বিনাশ
(খ) বিবিধ দুঃখের আত্যন্তিক বিনাশ
(গ) সত্যের অনুসন্ধান করা
(ঘ) অর্থ উপার্জনের পথ নির্দেশ করা
উত্তরঃ (ক) ত্রিবিধ দুঃখের আত্যন্তিক বিনাশ

৬৭। ত্রিবিধ দুঃখ হল-
(ক) আধিদৈবিক, শারীরিক, মানসিক দুঃখ
(খ) আধ্যাত্মিক, আধিভৌতিক, আধিদৈবিক দুঃখ
(গ) আধ্যাত্মিক, মানসিক, ভৌতিক দুঃখ
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (খ) আধ্যাত্মিক, আধিভৌতিক, আধিদৈবিক দুঃখ

৬৮। ত্রিবিধ দুঃখ কয়টি?
(ক) দুটি
(খ) তিনটি
(গ) চারটি
(ঘ) পাঁচটি
উত্তরঃ (খ) তিনটি

৬৯। দর্শন আলোচনার ত্রিস্তর হল-
(ক) পূর্বপক্ষ, খণ্ডন, উত্তরপক্ষ
(খ) পূর্বপক্ষ, উত্তরপক্ষ, সিদ্ধান্ত
(গ) উত্তরপক্ষ, সিদ্ধান্ত, খণ্ডন
(ঘ) পূর্বপক্ষ, প্রতিপক্ষ, উত্তরপক্ষ
উত্তরঃ (ক) পূর্বপক্ষ, খণ্ডন, উত্তরপক্ষ

৭০। ভারতীয় দর্শনশাস্ত্র হল-
(ক) বিজ্ঞানশাস্ত্র
(খ) অধ্যাত্মশাস্ত্র
(গ) আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র
(ঘ) সবকটি ঠিক
উত্তরঃ (খ) অধ্যাত্মশাস্ত্র

৭১। ভারতীয় দর্শনের মূল উৎস কী?
(ক) মহাভারত
(খ) গীতা
(গ) বেদ
(ঘ) রামায়ণ
উত্তরঃ (গ) বেদ

৭২। ভারতীয় দর্শনে বেদের ভূমিকা-
(ক) আছে
(খ) নেই
(গ) আংশিক
(ঘ) স্বল্প
উত্তরঃ (ক) আছে

৭৩। ভারতীয় দর্শনচিন্তার প্রধান ভিত্তি হল-
(ক) ধর্ম
(খ) অর্থ
(গ) বেদ
(ঘ) সংস্কৃতি
উত্তরঃ (গ) বেদ

৭৪। যারা বেদে বিশ্বাস করেন তাদের বলা হয়-
(ক) বৈদিক
(খ) অবৈদিক
(গ) জড়বাদী
(ঘ) সুখবাদী
উত্তরঃ (ক) বৈদিক

৭৫। ‘বিদ’ কথাটির অর্থ হল-
(ক) স্বপ্ন
(খ) জ্ঞান
(গ) দেখা
(ঘ) অনুভব
উত্তরঃ (খ) জ্ঞান

৭৬। ‘বেদ’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে-
(ক) ‘বিদ্‌’ ধাতুর সঙ্গে ‘ঘঞ্চ’ প্রত্যয় যোগ করে
(খ) ‘বিদ’ ধাতুর সঙ্গে ‘ঘ’ প্রত্যয় যোগ করে
(গ) ‘বিদ্‌’ ধাতুর সঙ্গে ঘঙ্ প্রত্যয় যোগ করে
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (খ) ‘বিদ’ ধাতুর সঙ্গে ‘ঘ’ প্রত্যয় যোগ করে

৭৭। ‘বেদ’ শব্দের মুখ্য অর্থ হল-
(ক) জ্ঞান
(খ) অতীন্দ্রিয় জ্ঞান বা প্রজ্ঞা
(গ) চিন্তা
(ঘ) বুদ্ধি
উত্তরঃ (খ) অতীন্দ্রিয় জ্ঞান বা প্রজ্ঞা

৭৮। ‘বেদ’ কথাটির অর্থ হল-
(ক) অনুভব
(খ) জ্ঞান
(গ) জানা
(ঘ) প্রত্যক্ষ
উত্তরঃ (খ) জ্ঞান

৭৯। বেদের অপর নাম-
(ক) বেদান্ত
(খ) স্মৃতি
(গ) উপনিষদ
(ঘ) শ্রুতি
উত্তরঃ (ঘ) শ্রুতি

৮০। অপৌরুষেয় বলা হয়-
(ক) বেদকে
(খ) কামকে
(গ) ধর্মকে
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ক) বেদকে

৮১। ‘অপৌরুষেয়’ শব্দের অর্থ হল-
(ক) পুরুষের রচনা
(খ) পুরুষের রচনা নয়
(গ) পুরুষ ভগবান
(ঘ) পুরুষের বিপরীত
উত্তরঃ (খ) পুরুষের রচনা নয়

৮২। ভারতীয় দর্শন কী?
(ক) সত্যদর্শন
(খ) জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ
(গ) বৌদ্ধিক পরিতৃপ্তি
(ঘ) তত্ত্বের প্রতি অনুরাগ
উত্তরঃ (ক) সত্যদর্শন

৮৩। ভারতে ‘দর্শন’ বলতে বোঝায়-
(ক) আয়ুর্বেদ শাস্ত্র
(খ) অর্থশাস্ত্র
(গ) সমাজশাস্ত্র
(ঘ) প্রমাণশাস্ত্র
উত্তরঃ (ঘ) প্রমাণশাস্ত্র

৮৪। প্রমাণশাস্ত্র হল-
(ক) যে শাস্ত্রে প্রত্যক্ষ, অনুমান প্রভৃতি বিভিন্ন প্রমাণ নিয়ে আলোচনা করা হয়
(খ) যে শাস্ত্রে নৈতিক ক্রিয়া-কর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়
(গ) যে শাস্ত্রে ঈশ্বর, আত্মা প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করা হয়
(ঘ) যে শাস্ত্রে যুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়
উত্তরঃ (ক) যে শাস্ত্রে প্রত্যক্ষ, অনুমান প্রভৃতি বিভিন্ন প্রমাণ নিয়ে আলোচনা করা হয়

৮৫। ভারতীয় দার্শনিকগণ জ্ঞানকে যে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন তা হল-
(ক) পরাজ্ঞান ও অপরাজ্ঞান
(খ) সত্যজ্ঞান ও মিথ্যাজ্ঞান
(গ) স্বতঃসত্যজ্ঞান ও স্বতঃমিথ্যা জ্ঞান
(ঘ) পরাজ্ঞান ও আপতিক জ্ঞান
উত্তরঃ (ক) পরাজ্ঞান ও অপরাজ্ঞান

৮৬। কোন্ জ্ঞানকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান বলা হয়?
(ক) ভাগবৎজ্ঞান
(খ) পরাজ্ঞান
(গ) অপরাজ্ঞান
(ঘ) আপতিক জ্ঞান
উত্তরঃ (খ) পরাজ্ঞান

৮৭। দর্শন হল প্রমাণশাস্ত্র, যার মুখ্য উদ্দেশ্য হল-
(ক) বুদ্ধি থেকে অভিজ্ঞতা লাভ করা
(খ) জানা থেকে অজানাতে যাওয়া
(গ) বুদ্ধি থেকে বোধিতে উত্তরণ করা
(ঘ) অজানা থেকে জানাতে যাওয়া
উত্তরঃ (গ) বুদ্ধি থেকে বোধিতে উত্তরণ করা

৮৮। ভারতীয় দর্শন-
(ক) বিচারমূলক
(খ) নির্বিচারমূলক
(গ) যুক্তিহীন
(ঘ) অযৌক্তিক
উত্তরঃ (ক) বিচারমূলক

৮৯। ভারতীয় দর্শন বিচারমূলক কারণ-
(ক) এই দর্শনে স্বাধীন চিন্তা ও যুক্তির স্থান নেই
(খ) এই দর্শনে স্বাধীন চিন্তা ও যুক্তির স্থান আছে
(গ) এই দর্শনে সবকিছু বিনা বিচারে গ্রহণ করা হয়
(ঘ) এই দর্শনে কোনো মতবাদ নির্বিচারে গ্রহণ করা হয়
উত্তরঃ (খ) এই দর্শনে স্বাধীন চিন্তা ও যুক্তির স্থান আছে

৯০। ভারতীয় দর্শনে লক্ষ করা যায়-
(ক) সুখের প্রাধান্য
(খ) দুঃখের প্রাধান্য
(গ) কার্যের প্রাধান্য
(ঘ) ভোগের প্রাধান্য
উত্তরঃ (খ) দুঃখের প্রাধান্য

৯১। ভারতীয় দর্শন নীতিশাস্ত্রকে অতিক্রম করে যায়, কারণ-
(ক) এই দর্শনের আলোচ্য বিষয় মানবসমাজ
(খ) এই দর্শনের আলোচ্য বিষয় জড়জগৎ
(গ) এই দর্শনের আলোচ্য বিষয় শুধু মানবসমাজ নয়, সমগ্র জীবজগৎ
(ঘ) এই দর্শনের আলোচ্য বিষয় মানবসমাজ ছাড়া জীবজগৎ
উত্তরঃ (গ) এই দর্শনের আলোচ্য বিষয় শুধু মানবসমাজ নয়, সমগ্র জীবজগৎ

৯২। ভারতীয় দর্শনের একটি বৈশিষ্ট্য হল-
(ক) এটি অধ্যাত্মবাদী
(খ) নির্বিচারবাদী
(গ) সুখবাদী
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ক) এটি অধ্যাত্মবাদী

৯৩। ভারতীয় দর্শন নির্বিচারবাদী নয় এখানে ‘নির্বিচারবাদ’ শব্দের অর্থ হল-
(ক) যারা কেবল নিজেদের বক্তব্যকেই স্বীকার করেন
(খ) যারা কোনো দার্শনিক বক্তব্যই স্বীকার করেন না
(গ) যারা কোনো বিচার-বিশ্লেষণ না করেই কোনো বক্তব্যকে মেনে নেন
(ঘ) যারা বিচার-বিশ্লেষণ করেই অন্য কারোর বক্তব্যকে মেনে নেন
উত্তরঃ (গ) যারা কোনো বিচার-বিশ্লেষণ না করেই কোনো বক্তব্যকে মেনে নেন

৯৪। ভারতীয় দর্শনকে দুঃখবাদী বলা যায় না, কারণ-
(ক) এই দর্শনে সুখভোগের কথা বলা হয়েছে
(খ) এই দর্শনে অর্থ উপার্জনের কথা বলা হয়েছে
(গ) এই দর্শনে ধর্মের কথা বলা হয়েছে
(ঘ) এই দর্শনে দুঃখ থেকে মুক্তির উপায়ের কথা বলা হয়েছে, যা আশাবাদকে প্রতিষ্ঠা করে
উত্তরঃ (ঘ) এই দর্শনে দুঃখ থেকে মুক্তির উপায়ের কথা বলা হয়েছে, যা আশাবাদকে প্রতিষ্ঠা করে

৯৫। ভারতীয় দর্শনে ‘ঋত’ বলতে বোঝানো হয়েছে-
(ক) বিশ্ব জগতের এক শাশ্বত নৈতিক নিয়মকে
(খ) যুক্তিতর্কের নিয়মকে
(গ) খেলার নিয়মকে
(ঘ) জীবনযাপনের নিয়মকে
উত্তরঃ (ক) বিশ্ব জগতের এক শাশ্বত নৈতিক নিয়মকে

৯৬। ভারতীয় দর্শনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল-
(ক) এই দর্শন কর্মবাদ ও জন্মান্তরবাদে বিশ্বাসী
(খ) এই দর্শন ভোগবাদী
(গ) এই দর্শন নৈরাশ্যবাদী
(ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (ক) এই দর্শন কর্মবাদ ও জন্মান্তরবাদে বিশ্বাসী

৯৭। কর্মবাদ অনুসারে-
(ক) ভালো কর্ম ফল উৎপাদন করে
(খ) মন্দ কর্ম ফল উৎপাদন করে
(গ) ভালো ও মন্দ কর্ম ফল উৎপাদন করে
(ঘ) কোনো কর্মই ফল উৎপাদন করে না।
উত্তরঃ (গ) ভালো ও মন্দ কর্ম ফল উৎপাদন করে

৯৮। ভারতীয় দর্শনে ক-টি কর্মের কথা বলা হয়েছে?
(ক) ২টি
(খ) ৩টি
(গ) ৪টি
(ঘ) ৫টি।
উত্তরঃ (ক) ২টি

৯৯। কর্মবাদ অনুসারে দুইপ্রকার কর্ম হল-
(ক) সকাম কর্ম ও ভালো কর্ম
(খ) ভালো কর্ম ও মন্দ কর্ম
(গ) সকাম কর্ম ও নিষ্কাম কর্ম
(ঘ) নিষ্কাম কর্ম ও ভালো কর্ম।
উত্তরঃ (গ) সকাম কর্ম ও নিষ্কাম কর্ম

১০০। ফললাভের জন্য যে কর্ম করা হয়, তাকে বলে-
(ক) নিষ্কাম কর্ম
(খ) সকাম কর্ম
(গ) মন্দ কর্ম
(ঘ) ভালো কর্ম।
উত্তরঃ (খ) সকাম কর্ম

১০১। নিষ্কাম কর্ম কী?
(ক) ফললাভের জন্য যে কর্ম করা হয়
(খ) ফললাভের আশা না করে যে কর্ম করা হয়
(গ) ভালোমন্দ কর্ম
(ঘ) ফলের নিমিত্তে যে কর্ম করা হয়
উত্তরঃ (খ) ফললাভের আশা না করে যে কর্ম করা হয়

১০২। ভারতীয় দর্শন অনুসারে কর্মবাদ থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়-
(ক) নিত্যতাবাদ
(খ) অনিত্যতাবাদ
(গ) জন্মান্তরবাদ
(ঘ) দেহাত্মবাদ।
উত্তরঃ (গ) জন্মান্তরবাদ

১০৩। ভারতীয় দর্শনে ‘জ্ঞান’ শব্দের পরিবর্তে যে শব্দটি ব্যবহৃত হয়, তা হল-
(ক) সংস্কার
(খ) বুদ্ধি
(গ) বিদ্‌
(ঘ) তত্ত্ব।
উত্তরঃ (খ) বুদ্ধি

১০৪। ভারতীয় দর্শনে যথার্থ জ্ঞান বা অনুভব হল-
(ক) প্রমা
(খ) প্রমাণ
(গ) প্রমেয়
(ঘ) প্রমাতা।
উত্তরঃ (ক) প্রমা

১০৫। ‘প্রমা’-এর অর্থ হল-
(ক) প্রকৃষ্ট বা উৎকৃষ্ট জ্ঞান
(খ) নিকৃষ্ট জ্ঞান
(গ) অযথার্থ জ্ঞান
(ঘ) মিথ্যা জ্ঞান।
উত্তরঃ (ক) প্রকৃষ্ট বা উৎকৃষ্ট জ্ঞান

১০৬। ‘মা’ শব্দের অর্থ হল-
(ক) জ্ঞান
(খ) বুদ্ধি
(গ) মন
(ঘ) দেহ।
উত্তরঃ (ক) জ্ঞান

১০৭। যে পদার্থ যে ধর্মবিশিষ্ট তাকে সেই ধর্মবিশিষ্ট প্রমাণ করে জানাকে কী বলা হয়?
(ক) প্রমা
(খ) অপ্রমা
(গ) সংশয়
(ঘ) বিপর্যয়।
উত্তরঃ (ক) প্রমা

১০৮। সফল প্রবৃত্তির জনক হল-
(ক) প্রমা
(খ) অপ্রমা
(গ) সংশয়
(ঘ) বিপর্যয়।
উত্তরঃ (ক) প্রমা

১০৯। ‘জ্ঞান’ কত প্রকার?
(ক) দুই
(খ) তিন
(গ) চার
(ঘ) পাঁচ।
উত্তরঃ (ক) দুই

১১০। দুই প্রকার জ্ঞান হল-
(ক) প্রমেয় ও প্রমাতা
(খ) অনুভব ও স্মৃতি
(গ) যথার্থ ও অনুভব
(ঘ) অযথার্থ ও প্রমাতা।
উত্তরঃ (খ) অনুভব ও স্মৃতি

১১১। ভারতীয় দর্শনে কয়টি অযথার্থ অনুভব স্বীকার করা হয়-
(ক) তিনটি
(খ) চারটি
(গ) দুটি
(ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (ক) তিনটি

১১২। ‘রজ্জুতে সর্পভ্রম।’-এটি-
(ক) প্রমা
(খ) অপ্রমা
(গ) সংশয়
(ঘ) বিপর্যয়।
উত্তরঃ (খ) অপ্রমা

১১৩। ‘শুক্তিতে রজতভ্রম।’-এটি-
(ক) প্রমা
(খ) প্রমাণ
(গ) অপ্রমা
(ঘ) সংশয়।
উত্তরঃ (গ) অপ্রমা

১১৪। ‘ঘটকে ঘটরূপে জানা।’-এটি-
(ক) যথার্থ অনুভব
(খ) অযথার্থ অনুভব
(গ) সংশয়পূর্ব অনুভব
(ঘ) এদের কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (ক) যথার্থ অনুভব

১১৫। যথার্থ জ্ঞানের প্রণালীকে বলে-
(ক) প্রমা
(খ) প্রমাণ
(গ) প্রমেয়
(ঘ) প্রমাতা।
উত্তরঃ (খ) প্রমাণ

১১৬। প্রমার করণ হল-
(ক) প্রমা
(খ) প্রমাণ
(গ) প্রমাতা
(ঘ) প্রমেয়।
উত্তরঃ (খ) প্রমাণ

১১৭। “প্রমাণ’ শব্দের অর্থ হল-
(ক) জ্ঞান
(খ) জ্ঞানের বিষয়
(গ) জ্ঞানের কর্তা
(ঘ) জ্ঞানের উপায়।
উত্তরঃ (ঘ) জ্ঞানের উপায়

১১৮। ভারতীয় দর্শনে যথার্থ জ্ঞানের বিষয়কে বলে-
(ক) প্রমেয়
(খ) প্রমাতা
(গ) প্রমা
(ঘ) প্রমিতি।
উত্তরঃ (ক) প্রমেয়

১১৯। ভারতীয় দর্শনে প্রমেয় মাত্রই-
(ক) প্রমাতা
(খ) প্রমাণ
(গ) পদার্থ
(ঘ) প্রমা।
উত্তরঃ (গ) পদার্থ

১২০। প্রমেয় হল-
(ক) জ্ঞানের বিষয়
(খ) জ্ঞাতা
(গ) যথার্থ জ্ঞানের করণ
(ঘ) যথার্থ জ্ঞানের কারণ।
উত্তরঃ (ক) জ্ঞানের বিষয়

১২১। ন্যায় মতে প্রমেয় পদার্থ-
(ক) দশটি
(খ) বারোটি
(গ) ষোলোটি
(ঘ) সাতটি।
উত্তরঃ (খ) বারোটি

১২২। প্রমাতা হল-
(ক) জ্ঞাতা
(খ) জ্ঞানের বিষয়
(গ) যথার্থ জ্ঞান
(ঘ) অযথার্থ অনুভব।
উত্তরঃ (ক) জ্ঞাতা

১২৩। ভারতীয় দর্শন অনুযায়ী প্রমাতা কে?
(ক) জীব
(খ) ঈশ্বর
(গ) জীব ও ঈশ্বর
(ঘ) কেউই নয়।
উত্তরঃ (গ) জীব ও ঈশ্বর

১২৪। প্রমাতা হল জ্ঞানের একটি-
(ক) আবশ্যিক শর্ত
(খ) পর্যাপ্ত শর্ত
(গ) আবশ্যিক-পর্যাপ্ত শর্ত
(ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (ক) আবশ্যিক শর্ত

১২৫। পুরুষার্থ কী?
(ক) পুরুষ সম্প্রদায়
(খ) পুরুষ শ্রেষ্ঠ
(গ) পূর্বপুরুষ
(ঘ) সকল জীবের কাম্যবস্তু।
উত্তরঃ (ঘ) সকল জীবের কাম্যবস্তু

১২৬। ভারতীয় দর্শনে পুরুষার্থের সংখ্যা হল-
(ক) তিনটি
(খ) চারটি
(গ) পাঁচটি
(ঘ) ছয়টি।
উত্তরঃ (খ) চারটি

১২৭। চতুর্বর্গ হল-
(ক) চারটি আর্যসত্য
(খ) চারটি পুরুষার্থ
(গ) চারটি নীতি
(ঘ) চারটি কর্ম।
উত্তরঃ (খ) চারটি পুরুষার্থ

১২৮। চতুর্বর্গ পুরুষার্থ হল-
(ক) ধর্ম-অর্থ-কাম-মোক্ষ
(খ) অধর্ম-অর্থ-কাম-মোক্ষ
(গ) ধর্ম-অর্থ-স্বর্গ-মোক্ষ
(ঘ) ঈশ্বর-আত্মা-ধর্ম-মোক্ষ।
উত্তরঃ (ক) ধর্ম-অর্থ-কাম-মোক্ষ

১২৯। ত্রিবর্গ পুরুষার্থ হল-
(ক) ধর্ম-অর্থ-কাম
(খ) অর্থ-কাম-মোক্ষ
(গ) ধর্ম-কাম-মোক্ষ
(ঘ) অর্থ-ধর্ম-মোক্ষ।
উত্তরঃ (ক) ধর্ম-অর্থ-কাম

১৩০। যে পুরুষার্থটি ত্রিবর্গের অন্তর্গত নয় সেটি হল-
(ক) কাম
(খ) ধর্ম
(গ) অর্থ
(ঘ) মোক্ষ।
উত্তরঃ (ঘ) মোক্ষ

১৩১। ভারতীয় দর্শনে ‘ধর্ম’ শব্দটির অর্থ-
(ক) ঈশ্বরে বিশ্বাস
(খ) বর্ণ ও আশ্রম অনুযায়ী আচরণবিধি
(গ) দেবতার বিশ্বাস
(ঘ) মোক্ষ।
উত্তরঃ (খ) বর্ণ ও আশ্রম অনুযায়ী আচরণবিধি

১৩২। ভারতীয় দর্শনে ধর্ম ও দর্শনের মধ্যে সম্পর্ক কীরূপ?
(ক) ধর্ম ও দর্শন ভিন্ন
(খ) ধর্ম ও দর্শন অভিন্ন
(গ) ধর্ম ও দর্শন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত
(ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (গ) ধর্ম ও দর্শন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত

১৩৩। ইন্দ্রিয় উপভোগ থেকে উৎপন্ন সুখকে বলা হয়-
(ক) ধর্ম
(খ) অর্থ
(গ) মোক্ষ
(ঘ) কাম।
উত্তরঃ (ঘ) কাম

১৩৪। ভারতীয় দর্শনে যে কামকে পুরুষার্থরূপে স্বীকার করা হয়েছে তা হল-
(ক) অসংযত কাম
(খ) অমিতাচার কাম
(গ) নীতিসম্মত ও শাস্ত্রবিহিত কাম
(ঘ) নীতিবহির্ভূত ও শাস্ত্রবহির্ভূত কাম।
উত্তরঃ (গ) নীতিসম্মত ও শাস্ত্রবিহিত কাম

১৩৫। ভারতীয় দর্শনে সকাম কর্ম হল-
(ক) ধর্মীয় কর্ম
(খ) নির্লোভ কর্ম
(গ) কামনাযুক্ত কর্ম
(ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (গ) কামনাযুক্ত কর্ম

১৩৬। ভারতীয় দর্শনে জীবের দুঃখহীন অবস্থাকে বলা হয়-
(ক) ধর্ম
(খ) অর্থ
(গ) কাম
(ঘ) মোক্ষ।
উত্তরঃ (ঘ) মোক্ষ

১৩৭। দুঃখের আত্যন্তিক নিবৃত্তিকে বলা হয়-
(ক) ধর্ম
(খ) অর্থ
(গ) মোক্ষ
(ঘ) কাম।
উত্তরঃ (গ) মোক্ষ

১৩৮। ভারতীয় দর্শনে পরম পুরুষার্থ হল –
(ক) ধর্ম
(খ) অর্থ
(গ) কাম
(ঘ) মোক্ষ।
উত্তরঃ (ঘ) মোক্ষ

১৩৯। অপবর্গ কথাটির অর্থ হল-
(ক) মোক্ষ
(খ) প্রবৃত্তি
(গ) আত্মা
(ঘ) বুদ্ধি।
উত্তরঃ (ক) মোক্ষ

১৪০। ‘মোক্ষ’ কথার অর্থ হল-
(ক) আধ্যাত্মিক মুক্তি
(খ) শারীরিক মুক্তি
(গ) মানসিক মুক্তি
(ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (ক) আধ্যাত্মিক মুক্তি

১৪১। মোক্ষলাভের তিনটি পথ বা মার্গ হল –
(ক) জ্ঞানমার্গ, শাস্ত্রমার্গ, ভক্তিমার্গ
(খ) জ্ঞানমার্গ, সাধনমার্গ, কর্মমার্গ
(গ) জ্ঞানমার্গ, কর্মমার্গ, ভক্তিমার্গ
(ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (গ) জ্ঞানমার্গ, কর্মমার্গ, ভক্তিমার্গ

১৪২। অধিকাংশ ভারতীয় দর্শন কোন্টিকে পরম পুরুষার্থ হিসেবে মেনেছেন?
(ক) ধর্ম
(খ) কাম
(গ) অর্থ
(ঘ) মোক্ষ।
উত্তরঃ (ঘ) মোক্ষ

১৪৩। ভারতীয় দর্শনে মোক্ষকে আর কী কী নামে অভিহিত করা হয়েছে?
(ক) কৈবল্য
(খ) মুক্তি
(গ) নির্বাণ
(ঘ) সবকটি ঠিক।
উত্তরঃ (ঘ) সবকটি ঠিক

১৪৪। কোন্ ভারতীয় দার্শনিক সম্প্রদায় মোক্ষকে পুরুষার্থরূপে স্বীকার করেননি?
(ক) চার্বাক
(খ) বৌদ্ধ
(গ) জৈন
(ঘ) ন্যায়।
উত্তরঃ (ক) চার্বাক

১৪৫। কোন্ মতে এই জীবনেই মোক্ষলাভ সম্ভব?
(ক) ন্যায়
(খ) বৌদ্ধ
(গ) চার্বাক
(ঘ) বৈশেষিক।
উত্তরঃ (গ) চার্বাক

১৪৬। শ্রেষ্ঠ পুরুষার্থ হল-
(ক) ধর্ম
(খ) অর্থ
(গ) কাম
(ঘ) মোক্ষ।
উত্তরঃ (ঘ) মোক্ষ

১৪৭। চার্বাক মতে পরম পুরুষার্থ কোন্টি?
(ক) ধর্ম
(খ) অর্থ
(গ) কাম
(ঘ) মোক্ষ।
উত্তরঃ (গ) কাম

১৪৮। ভারতীয় দর্শনে পুরুষার্থ নয় কোন্টি?
(ক) ধর্ম
(খ) অর্থ
(গ) আত্মা
(ঘ) মোক্ষ।
উত্তরঃ (গ) আত্মা

১৪৯। ভারতীয় দর্শন মতে–
(ক) কর্মবাদ ও অধ্যাত্মবাদ পরস্পর বিচ্ছিন্ন
(খ) কর্মবাদ ও পুনর্জন্মবাদ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত
(গ) কর্মবাদ ও পুনর্জন্মবাদ পরস্পর বিচ্ছিন্ন
(ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (খ) কর্মবাদ ও পুনর্জন্মবাদ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত

আরও পড়ুন : দ্রব্য MCQ প্রশ্ন উত্তর

আরও পড়ুন : কার্যকারণ সম্বন্ধ MCQ প্রশ্ন উত্তর

আরও পড়ুন : বেদান্ত MCQ প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment